করদাতারা হয়রানির শিকার হলেই ব্যবস্থা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৭ পিএম
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কর দিতে এসে কেউ হয়রানির শিকার হলে আমার দরজা খোলা আছে। আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা কারো ওপর কর চাপিয়ে দেই নাই। কর হার অনেক কম, যাতে সবাই কর দিতে পারে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এনবিআরের সদস্য সুলতান মো. ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের ভ্যাট নীতির সদস্য ড. আব্দুল মান্নান শিকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশের কর জিডিপি অনুপাত মূলত ১৪ শতাংশ। তবে আমরা ১০ শতাংশ ধরে থাকি। কারণ দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বিভিন্ন পর্যায়ের কর মাফ করে থাকি। আমারা যে সব কর মাফ করে থাকি সেগুলো যদি না করতাম, তাহলে এর পরিমাণ জিডিপিতে ১৪ শতাংশই হতো।
ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা আয় করছেন, তারা অবশ্যই কর দিবেন। আপনাদের থেকে আহরিত করের টাকা দিয়েই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও অনুন্নত এলাকার উন্নয়ন হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ( গ্রেড ১) খন্দকার আমিনুর রহমান বলেন, অনলাইন ভ্যাটিং সিস্টেমের মাধ্যেম জটিলতা কমায় আগের তুললায় ভ্যাট দেয়ার প্রবণতা বাড়বে। বর্তমানে এক লাখ সতেরো হাজার কোটি টাকা কর/ভ্যাট আহরণ হলেও ঘরে বসে ব্যবসায়ীরা কর দিতে পারবেন।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) ড. আব্দুল মান্নান শিকদার বলেন, নতুন আইনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অনলাইন ভ্যাট কর্মসূচি। এটা সবার জন্যই সুবিধাজনক পদ্ধতি। অফিসে এসে কারো হয়রানি হতে হবে না। পরে ১৪ প্রতিষ্ঠানের হাতে ভ্যাট সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।