×

পুরনো খবর

স্বস্তির ভেতরে অস্বস্তির দীর্ঘশ্বাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২৫ পিএম

এমনি এমনি কোনো কিছুতে স্বস্তি আসে না। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা আর পরিশ্রমের ফল জীবনের স্বস্তি। অনেক দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিশাল বিশাল সাফল্য। বহু ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়নে জনমনে স্বস্তি। স্বস্তি এখন অনেক কিছুতেই। দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে অনেক আগেই। খিদের জ্বালায় কাউকে দুয়ারে দুয়ারে সাহায্য চাইতে হয় না। মোট দেশজ উৎপাদন বাড়ছে, প্রবৃদ্ধির হার উঠে যাচ্ছে ৮ শতাংশের উপরে, ক্রমাগত বাড়ছে মাথাপিছু আয়। মোট দেশজ উৎপাদন একানব্বই বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২৮৫ বিলিয়ন হতে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি আর দারিদ্র্য কমেছে অনেক, অসাধারণ অর্জন অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে। সুনীল অর্থনীতি হাতছানি দিচ্ছে অসীম সম্ভাবনার। মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতির চেহারাই যাবে পাল্টে। বিদেশি সাহায্য ছাড়াই প্রায় সমাপ্তির পথে পদ্মা সেতু। ভৌগোলিক আয়তনে ক্ষুদ্র বাংলাদেশ নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে মহাকাশে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। সামাজিক অনেক সূচকে ঈর্ষণীয় অর্জন বাংলাদেশকে রোল মডেল করেছে পৃথিবীর বুকে। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের ছয় ধাপ অগ্রগতি; জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ যা করে দেখিয়েছে তা কোনো উন্নত দেশও করতে পারেনি। সরকারের ধারাবাহিকতার সঙ্গে সঙ্গে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশকে কেউ রুখতে পরবে না অদূর ভবিষ্যতে। একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত বিদ্যুৎ শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে মুজিববর্ষে একটি ঘরও অন্ধকারে থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এখন নজর দেয়া দরকার আয় আর সম্পদ-বৈষম্য দূরীকরণের দিকে, যার সৃষ্টি হয়েছে উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাভাবিক নিয়মে অনেকটা সন্তান প্রসবের বেদনার মতো।

স্বস্তি রয়েছে বিচার ব্যবস্থায়। ছাড় দেয়া হচ্ছে না কোনো প্রভাবশালীকেও। শিক্ষাঙ্গনে দুর্বৃত্তপনা করে ছাড় পাচ্ছে না কেউ। জনগণের শত্রুদের বিরুদ্ধে চলছে শুদ্ধি অভিযান। কয়েকটা ক্ষেত্রে বিচার হয়েছে অতি দ্রুতগতিতে (নুসরাত হত্যার আসামিদের মৃত্যুদন্ড আর ওসি মোয়াজ্জেমের আট বছর জেল, এক এমপিকে মেরে আরেক এমপির ফাঁসির দন্ড, হলি আর্টিজানে হামলা করা জঙ্গিদের মৃত্যুদন্ড)। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ বেরিয়ে আসছে দেখে জনমনে স্বস্তি। জমিদারি ভাব দেখিয়ে চলা নেতাদের দিন শেষ। শহরে-গ্রামে স্বস্তির খবর। অচিন্তনীয় স্বস্তি তিনটি সংখ্যায়। ৯৯৯ নম্বরে ফোনের মাধ্যমে সেবা পেয়েছে আটান্ন লাখ মানুষ; এ নম্বরে ফোন করে মুক্তি পেয়েছে বাল্যবিয়ে থেকে, ডাকাত আর ধর্ষকের হাত থেকে, ছিনতাইকারীদের কবল থেকে; দাজ্জাল শাশুড়ি আর বর্বর স্বামীর অত্যাচার থেকে। স্বস্তি আসছে মুজিববর্ষে। ইউনেস্কোর সহযোগিতায় পালিত হবে ১৯৫ দেশে মুজিববর্ষ, যা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বিশ্বস্বীকৃতি। এটি শেখ হাসিনার সরকারের সর্বশেষ অকল্পনীয় অর্জন।

তবে অনেক টুকরো টুকরো অস্বস্তি গিলে ফেলছে বহু স্বস্তিকে। ক্ষয়িষ্ণু পারস্পরিক শ্রদ্ধা-ভালোবাসা মায়া-মমতার কারণে অস্বস্তি বাড়ছে পরিবারে। অস্বস্তি সমাজে, গ্রাম্য সালিশে, স্থানীয় রাজনীতিতে। অস্বস্তি নগরে-শহরে-বন্দরে যেখানে দূষণ শুষে নিচ্ছে জীবনের আয়ু। দূষণ বায়ুতে, পানিতে, বাতাসে, আলোতে, নদীতে-খালে, ধূলায় আকীর্ণ সড়কে-গলিতে, রাস্তায় আবর্জনার স্ত‚পে, কলকারখানার বর্জ্য, হোটেল-রেস্টুরেন্ট আর হাসপাতাল-ক্লিনিকের আশপাশে। অস্বস্তি ধূলাবালির কণায়, ভাঙা রাস্তার হাঁ-করা খাদে। বাবা-মায়ের অস্বস্তি বাচ্চাদের মুঠোফোন নিয়ে। পাড়া-মহল্লায় অস্বস্তি কিশোর গ্যাং আর অনাচারে। অস্বস্তি স্কুল-কলেজে। কী রকম আতঙ্কগ্রস্ত চেহারা নিয়ে ৬/৭ বছরের ফুটফুটে বাচ্চাগুলো অংশ নেয় ভর্তিযুদ্ধে। ভর্তির পর পিঠ বাঁকানো বইয়ের ব্যাগ নিয়ে চলতে হয় নিত্যদিন। বেঁকে যাচ্ছে ওদের মেরুদÐ, সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎও। অস্বস্তি শুধু মা-বাবার, সমাজ-রাষ্ট্রের নয়। প্রায় তিন হাজার শিক্ষক-স্বল্পতা নিয়ে চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছে সব সরকারি কলেজে। বেসরকারি কলেজে তো ছাত্ররাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্লাসে যায় না; শিক্ষকদের অবস্থাও তথৈবচ। বেরুচ্ছে কাগুজে গ্র্যাজুয়েট। তৈরি হচ্ছে না পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ কর্মী। দক্ষতার অভাবে ভুগছে শিল্পকারখানা। বিদেশি দক্ষ কর্মীরা এদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে বহু কষ্টে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা। অস্বস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বস্তিকর অবস্থার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে মেডিকেল কলেজের লঙ্কাকান্ড। অনিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়েছে অনেক মেডিকেল কলেজ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে কারো নজর আছে বলেই তো মনে হয় না। কয়েকটি বাদে কী সব বেরুচ্ছে ওসব থেকে।

অস্বস্তি রাজনীতির মাঠে। হঠাৎ করেই হলি আর্টিজানের জঘন্য হত্যাকান্ডের বিচারের রায় বেরোনোর ঠিক আগের দিন রাজপথে একটি বিরোধী দলের জঙ্গিপনা, নিরীহ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি, রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর। বসন্তের কোকিলদের দলে ঠাঁই না দেয়ার যুদ্ধ প্রধান রাজনৈতিক দলে। কোকিলদের কী দোষ; তাদের যারা জেনেবুঝে দলে ভিড়ালো তাদের ব্যাপারে কেউ কিছু বলছে না। অস্বস্তি তো এখানেই। পকেটে নাকি কমিটি থাকে, তা নিয়েও তৃণমূলে অস্বস্তি। অস্বস্তি পারিবারিক অঙ্গনে। পেঁয়াজসহ অনেক দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশচুম্বী। কোনো প্রকার ঘাটতি না থাকা সত্তে¡ও ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা। জনগণের অস্বস্তি পেঁয়াজ থেকে চালে, চাল থেকে লবণে, ফলমূল আর ভোজ্যতেলসহ অনেক পণ্যে। ক্যাব যখন বলে ২০টি নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয় আর আমরা বাজারে গিয়ে দেখি তার যথার্থতা, তখন কী করে বলি আমরা আছি স্বস্তিতে? ব্যবসা-বাণিজ্য আটকা পড়েছে একশ্রেণির দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীদের প্রতারণার কবলে। হাজার কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে খালি করে ফেলেছে আমদানিকারক আর আড়তদাররা। ওদের পোয়াবারো আর গিন্নিদের ঝাঁঝালো বচনে স্বামী প্রবরদের চরম অস্বস্তি। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো অস্বস্তি দোকানে আর বাজারে সুপারশপে পচা মাছ, দোকানে দোকানে ভেজাল পণ্য, কেমিক্যাল দেয়া ফলমূল, কীটনাশকে ভরা শাক-সবজি আর ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। যাবে কোথায় মানুষ স্বস্তির খোঁজে? অস্বস্তি ছিনতাই আর প্রতারণায়। রাস্তাঘাট, বন্দর, হাটবাজার ছাড়াও ছিনতাইকরাীদের দৌরাত্ম্য হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের ঘটনা বিভিন্ন শহর আর শিল্পাঞ্চলে। রাজধানীসহ সব শহরে প্রতারকদের দৌরাত্ম্য। শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে অনেকে বেপরোয়া। মাদক খোরদের যন্ত্রণা তো কমছেই না এত ধরাধরির পরও।

অস্বস্তি গণপরিবহনে। আইন না মানার জন্য আবদার তো আছেই। আশি শতাংশ চালক তো চোখেই দেখে না ঠিকমতো। হেলপার বসে চালকের আসনে আর চালক নিশ্চিন্তে ঘুমায় স্টিয়ারিংয়ের পাশে। দুর্ঘটনা ঘটছে বেশুমার। নির্বিকার মালিক, শ্রমিক, কর্তা-ব্যক্তিরা সবাই। হঠাৎ করে গাড়ি বন্ধ করা, ধর্মঘট ডাকা, রাস্তায় অন্যের গাড়িতে লাঠি বিলাসিতা করা, সহকর্মী চালকদের মুখে পোড়া মবিল মেখে হাস্যবদনে ক্যামেরায় পোজ দেয়া, অ্যাম্বুলেন্স আটকে দিয়ে রোগী মেরে ফেলা, পেট্রল পাম্পগুলোর বিনা নোটিসে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় ধস নামিয়ে দেয়া, সব কিছু তো হয় নাকের ডগায়। চোখ তো কর্তাদের বন্ধ অথবা অন্ধ। নাকি হাত-পা বাঁধা কোনো অদৃশ্য শিকলে? মুখ তো খোলে না কেউ। কিছু একটা ঘটলেই তো আছে তদন্ত কমিটি। চলছে দেশজুড়ে, প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে কমিটি-বিলাস। সদ্য প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে রেলের বিশৃঙ্খলার ভয়ঙ্কর রূপ দেখে আমরা চরম অস্বস্তিতে। রেলের অ্যাপে টাকা কাটে, টিকেট আসে না। এক বছরে একুশটি ট্রেনের লাইনচ্যুতি আর ২২ জনের নিহত হওয়ার পর আমাদের স্বস্তি থাকে কী করে? ছোট্ট একটু জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার বসানো ত্রিচক্রযানের বিপদ তো লেগেই আছে সব সময়। বারো রকমের তিন চাকার যান হরদম চলছে সড়ক-মহাসড়কে আর শহরের অলিতে-গলিতে প্রতিনিয়ত প্রাণহানি ঘটিয়ে আর ব্যাটারিচালিত গাড়িতে প্রচুর বিদ্যুৎ অপচয় বড় ধরনের সংকট তৈরি করছে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনায়। ফুটপাত দাবড়িয়ে মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি তৈরি করেছে পথচারীদের জন্য নিরাপত্তাহীনতা। এসব অস্থিরতা জিইয়ে রেখে কীভাবে পরিবহন-স্বস্তি আনা যাবে মানুষের মনে?

অস্বস্তি নারীদের সর্বত্র। কর্মস্থলে, রাস্তায়, গণপরিবহনে, স্কুটার-ট্যাক্সি-হিউম্যান হলার কোথাও নেই নিরাপত্তা। বাড়িঘরেও নিরাপত্তাহীনতা। অনেক কথা বলা যায় না লজ্জাশরমে; লজ্জাতো গিলে ফেলছে লজ্জাহীন পুরুষরা। মহামারি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে নারী-শিশুর ওপর লাগামহীন যৌন-নিপীড়ন। দুর্বৃত্ত পুরুষদের বেপরোয়া লাম্পট্য ঠেলে দিচ্ছে সমাজকে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে। ভয়ঙ্কর অস্থিরতা সমাজে। দলবদ্ধ গণধর্ষণ আর ধর্ষিতাকে হত্যার ঘটনাগুলো কীভাবে বাড়ছে, তা দেখার কেউ আছে কী? অস্থিরতা স্বল্পবিত্তের মানুষের সঞ্চয়ের জায়গায়। ব্যাংকের মুনাফা যাচ্ছে কমে। অনেক ব্যাংক আর নন-ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের তো খাবিখাই অবস্থা। সঞ্চয়পত্রের ব্যাপারে কড়াকড়ি করে স্বল্পবিত্তের সঞ্চয়ের জায়গাটাও সংকুচিত করে দেয়া হলো কয়েক মাস আগে। মৌলভিত্তির শেয়ারের অভাবে শেয়ার বাজারেও ‘চিরকালের’ অস্থিরতা। অস্বস্তি গুজবে। গুজবে অনেক সময়ই গজব নেমে আসে অনেক নিরীহ লোকের জীবনে। গুজবে কান দিয়ে মারছে, মরছে, সর্বনাশ হচ্ছে বহু সংসার আর পরিবারের।

অস্বস্তি কলকারখানায়। তৈরি পোশাক খাতে সংকট বাড়ছে দিন দিন। দক্ষ জনবল আনা হয় বিদেশ থেকে, দেয়া হয় কয়েকগুণ বেশি বেতনভাতা। গার্মেন্ট শিল্পে কয়েক লাখ নারী কর্মী উদয়াস্ত খেটে অর্জন করে যে বৈদেশিক মুদ্রা তার একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে বিদেশি কর্মীদের পকেটে। তবুও তৈরি করার ব্যবস্থা নেয়া হয় না দেশের ভেতরে দক্ষ কর্মী। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের অভাবে চীন থেকে প্রতি বছর দশ বিলিয়ন মিটার কাপড় আমদানি করে চালানো এ শিল্পটি দ্বিতীয় স্থান হারিয়ে এখন চলে যাওয়ার উপক্রম ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, পাকিস্তানের পেছনে। বিশ্বে নবম স্থানে থাকা দেশটির ১৬৬টি চা-বাগানে চা শ্রমিকদের জীবনের অস্বস্তি সেই যে দেখেছি ১৯৭৫-এ প্রথমবার একটি নিজস্ব গবেষণার সুবাদে, তার কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি এত বছরেও। অস্বস্তি পাটশিল্পে। আর্থিক সংকটের কারণে পাটকলগুলোতে মজুরি না পেয়ে দিশাহারা লক্ষাধিক শ্রমিক; আন্দোলন আর ভুখা মিছিলে অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ। ভারতীয় পাটকলগুলোর রমরমা অবস্থা বাংলাদেশের পাট দিয়ে অথচ আমাদের কলগুলো কেন অস্বস্তিতে? অস্বস্তি ব্যাংকিং সেক্টরে। অর্থনীতিতে সংকট বয়ে আনছে খেলাপি ঋণ, নষ্ট হচ্ছে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা। ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ (মোট ঋণের ১২ শতাংশ) নিয়ে কী করে স্বস্তিতে থাকতে পারে ব্যাংকিং সেক্টর?

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্বস্তিগুলো মানুষের ভেতরটাকে খেয়ে ফেলে কুরে কুরে। স্বস্তির ভেতরে অস্বস্তির যুগল অবস্থানে জীবন হয়ে ওঠে বিরক্তিকর, মাঝে মাঝে অসহনীয়। মেজাজের ওপর পড়ে বিরূপ প্রভাব। কর্মস্থল হয়ে ওঠে নিরানন্দ এক ধু-ধু বালুচর। গোষ্ঠীস্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে জনস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হলেই অনেক অস্বস্তি পালিয়ে যাবে দূর নীলিমায় আর মমতাময়ী দেশমাতৃকার বুকে মানবজীবন হয়ে উঠবে কিছুটা হলেও মধুময়।

ড. এম এ মাননান : উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App