×

জাতীয়

পুকুর বানানো নদীতে অবশেষে লাল নিশানা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৬ পিএম

পুকুর বানানো নদীতে অবশেষে লাল নিশানা
পুকুর বানানো নদীতে অবশেষে লাল নিশানা

কালীগঞ্জের বুড়ি ভৈরব নদী দখল করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তার পুকুর বানানোর ঘটনায় টনক নড়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। দখল হওয়া নদীর সীমানা নির্ধারণ করে অবশেষে টানিয়ে দেয়া হয়েছে লাল নিশানা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পাউবো কর্মকর্তারা বুড়ি ভৈরবের গা ঘেঁষা হাসিলবাগ ও মাশলিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন। খনন করা নদীর স্থান ভূমিমানচিত্র অনুযায়ী মাপতে গিয়ে প্রমাণ পেলেন পুকুরের মধ্যে রয়েছে নদীর জায়গা। পরে তারা নদীর সীমানায় লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন।

পাউবোর যশোর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী ইনজামামুল হক রোহান জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুকুর তৈরির জন্য খনন করা স্থানটি মাপা হয়েছে। সিদ্দিুকুর রহমানের খনন করা পুকুরের প্রায় অর্ধেকটায় নদীর জায়গা পাওয়া গেছে। যেখানে লাল নিশানা দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই নদী দখলমুক্ত করা হবে।

প্রকৌশলী ইনজামামুল হক আরো বলেন, নদী খননের পরে কাউকে না জানিয়ে পাড়ের মাটি সরিয়ে সিদ্দিকুর তার পুকুরের পাড় বেঁধেছেন। ফলে ওই স্থানটিতে নদীর জায়গা কম হয়ে গেছে। এটা সিদ্দিকুর রহমানের বড় অপরাধ।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, বুড়ি ভৈরব দখল করে একজন পুকুর কেটেছেন যা মেপে পাওয়া গেছে এমন কথা তিনি শুনেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দখলমুক্ত করা হবে।

নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বুড়ি ভৈরব নদীর খনন কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই চরম বিপাকে পড়েছেন দখলবাজেরা। পাউবোর দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক খনন কাজ চললেও সাদিকপুর গ্রামের প্রভাবশালী সিদ্দিকুর রহমান নদীর ভেতর পুকুর তৈরি করেন। সিদ্দিকুর পাউবো কর্মকর্তা হওয়ার কারণে তার পুকুর দখলমুক্ত না করেই খনন কাজ করা হয়েছে। এমনকি নদীর জায়গার বাইরের বেশ কিছু কৃষকের নিজস্ব জমিতে মাটি ফেলা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে পাউবোতে অভিযোগ দেয়া হয়। একই সঙ্গে উপজেলা ভুমি অফিসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। সে সময়ে নদী দখলবাজদের উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করা হয়। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বুড়ি ভৈরব নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে খননে সরকারের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু নদীর মাঝে প্রায় ২.৩৫ শতক জমি দখল করে পুকুর তৈরি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে পুকুর তৈরির কারণ নদীর অপর পাশের ১০ কৃষকের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App