নিজের বাসা বিক্রি করে তারা এখন সে বাসায় ভাড়া থাকেন। ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া পৌর সদরে জমি কিনে প্রতারনার শিকার হয়ে নিঃস্ব আঃ লতিফ শিকদারের স্ত্রী বীনা বেগম সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন কথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে বীনা বেগম জানান, ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে পন্ডিত ঋষি ও তার স্ত্রীর পূর্ন রানী ঋষির নিকট থেকে ফুলবাড়ীয়া মৌজার বিআরএস ১৩৬, খতিয়ানের সাবেক ২৩৮৭, হাল ৪৪৫৫ দাগে ৮ শতাংশ জমি ৪৫ লক্ষ টাকা দাম নির্ধারন করে ১১ লক্ষ টাকা ও ৩৪ লক্ষ টাকা বাকী রেখে গত ১২ ফেব্রয়ারী তারিখে ১১২৪ নং বায়নামা দলিল রেজিষ্ট্রি করে। বায়নাপত্রের দলিলের মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ার পূর্বেই জমির মালিকগন আরো টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এলাকার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গত ১৫ মে ৩২৯৭ রেজিস্ট্রিমূলে ১১২৪ বায়নাপত্র বাতিল করা হয়। ঐ তারিখেই ৩৩০০ রেজিস্ট্রি মুলে নতুন করে ২৮ লক্ষ টাকার অন্য একটি বায়নাপত্র করা হয়।
বায়নাপত্রের পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে সাফ কাওলা করে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়ার বিষয়টি বায়নাপত্রে উল্লেখসহ জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। পন্ডিত ঋষি ও তার স্ত্রী পূর্ন রানী ঋষি জমির সাফকাওলা দলিল ও দখল বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করে। আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি করা হলে পুলিশ তার সত্যতা পান। আমরা উপায়ন্তর না দেখে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করি।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি (তদন্ত) সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৬ নভেম্বর ৪৬১৬ স্বারকমূলে রেঞ্জ ডিআইজির নিকট একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সংবাদ সম্মেলনে বীনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আরো জানান,উক্ত ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করতে গিয়ে সকল আবাদী জমিসহ বসতবাড়ী বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করে আমরা এখন সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার পূর্বের বিক্রি করা বাসায় ৫ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া দিয়ে ছেলে সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে বসবাস করছি। সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাকিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।