×

স্বাস্থ্য

২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের ইচ্ছামৃত্যু?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫৯ এএম

২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের ইচ্ছামৃত্যু?
আর ২৬ বছর পর আমরাও ইচ্ছামৃত্যুর বর পাব। থামিয়ে দিতে পারব বার্ধক্যের বিজয়রথ। এমনটাই দাবি করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) জেনেটিক্সের অধ্যাপক জোসে লুই কর্দেইরো ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন-তত্ত্ববিদ ডেভিড উড। এই দুই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার দাবি করছেন, ২০৪৫ সাল নাগাদ মানুষ আর কোনো প্রাকৃতিক কারণে বা রোগে ভুগে মারা যাবে না। সব রকম স্বাভাবিক মৃত্যু পুরোপুরি জয় করে ফেলবে মানুষ। দাবির সপক্ষে বলতে গিয়ে কর্দেইরো ও উড জানান, জিনের ওপর মানুষের ‘নিয়ন্ত্রণ’ এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলবে। যে পদ্ধতিকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। কী কী করা যাবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে? তালিকাটা এতই লম্বা যে, কী করা যাবে না বললে কাজটা খুব সহজে হয়ে যায়! শিশুদের মধ্যেও যেমন ‘ভালো’ আর ‘দুষ্টু’ থাকে, জিনের মধ্যেও থাকে তেমনই। সেই দুষ্টু শিশুকে আমরা যেমন পরিচর্যা দিয়ে ধীরে ধীরে ভালো করে তুলি, ঠিক তেমনি ‘দুষ্টু’ জিনকেও আমরা ‘ভালো’ করে তুলতে পারি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে। জিন প্রযুক্তির জাদুতেই মরে যাওয়া কোষ কিংবা কলাগুলো শরীর থেকে বের করে দিতে পারি। জিন প্রযুক্তি যেন একটা ‘সংশোধনাগার’ যেখানে বিগড়ে যাওয়া, বখে যাওয়া কোষগুলো ‘সুস্থ’ ধারায় ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক করে তোলা হয়। এর মাধ্যমে স্টেমসেল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন রোগজীর্ণ অংশ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো অনায়াসে সারিয়ে ফেলতে পারি। হৃৎপিণ্ড, কিডনি, ফুসফুস, পাকস্থলি, অগ্নাশয়ের মতো দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো বদলে দিতে পারি, নতুন তরতাজা ‘থ্রি-ডি প্রিন্টেড’ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে। কর্দেইরো আরো একটি চমকে দেয়া মন্তব্য করেন, যেভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ চালিয়ে যাচ্ছে জাপান ও দুই কোরিয়া (উত্তর ও দক্ষিণ), তাতে আর ২০০ বছরের মধ্যে এই গ্রহ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে যাবেন জাপানি ও কোরীয়রা। তবে জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে জাপানি আর কোরীয়দের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। ধরে রাখা যাবে অটুট যৌবন। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ এসব বিষয়ে বলছেন, বোগাস, এই সবই উর্বর মস্তিস্কের কল্পনামাত্র!

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App