গণহত্যার শুনানিতে অংশ নিতে হেগের পথে সুচি
nakib
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:১৬ পিএম
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর দেশটির সেনাবাহিনীর পরিচালিত বর্বরোচিত গণহত্যা ও গণধর্ষণের মামলার শুনানিতে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন এক সময়ের শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সুচি। হেগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজের শুনানিতে অংশ নিতে তিনি রবিবার দেশ ছাড়েন।
এ সময় রাজধানী নাইপেডিউতে বিমানে উঠার আগে তার হাস্যোজ্জল ছবি প্রকাশ পায়। তখন তার পাশে আরো কিছু সরকারী কমকর্তাদের দেখা যায়। সুচির নামে দেশব্যাপি প্রর্থনা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন পর তিনি দেশ ছাড়লেন।
এদিকে শুনানি শুরু হলে দেশব্যাপি সুচির পক্ষে মিছিল করার পরিকল্পনা করছে তার দল এবং কিছু সমর্থক নেদারল্যান্ডে যাচ্ছে আদালতের বাইরে সুচির নামে স্লোগান দেয়ার জন্য।
এরআগে গত নভেম্বরেছোট মুসলিম দেশ গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালানোর অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানায়।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর পরিচালিত জঘন্য এক অভিযানের ফলে ১০ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা জনগণ বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ যে হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত অভিযান বলে অভিহিত করে। বিশ্বব্যাপি এ নিমর্মতার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠলেও সুচির সরকার এ গণহত্যাকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান বলে হত্যাকাণ্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে।
তবে দেশ ছাড়ার আগে সুচি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংই এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে আন্তর্জাতিকভাবে সংকটময় এ মুহুর্তে মিয়ানমার তাদের সবচেয়ে কাছের মিত্র চীনের কাছ থেকে সমর্থন ও পরামর্শ প্রত্যাশা করে।
উল্লেখ্য, তিনদিনের এ শুনানিতে ১০ ডিসেম্বর মামলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবে গাম্বিয়া। ১১ ডিসেম্বর মিয়ানমার তাদের অভিযোগ খন্ডন করবে আর ১২ ডিসেম্বর উভয় পক্ষ তাদের যুক্তি-তর্ক তুলে ধরবে।