×

জাতীয়

ক্ষমতায় থেকে ‘মুই কি হনুরে’ হওয়া যাবে না

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম

ক্ষমতায় থেকে ‘মুই কি হনুরে’ হওয়া যাবে না
ক্ষমতায় থেকে ‘মুই কি হনুরে’ হওয়া যাবে না
নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দলে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দলে যদি নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা  না থাকে তাহলে দল একদিন জড় বস্তুতে পরিণত হবে।  ইট বালি সিমেন্টে পরিণত হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে ‘মু্ই কি হনুরে’ হওয়া যাবে না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। মানুষের হৃদয়ের ভালবাসা হলো দীর্ঘস্থায়ী। আমাদের নেত্রী আমাদের তাই শিখিয়েছেন। আজ রবিবার রাজশাহীর মহিলা কমপ্লেক্স মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দূর্নীতির দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভকে মামাবাড়ির আবদার বলেও  আখ্যা দেন তিনি। বলেন, আদালত ছাড়া খালেদা জিয়া কোন দিন মুক্তি পাবেন না। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, বিশেষ অতিথি রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত  সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম,  আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সদস্য  নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, মেরিনা জাহান। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে নানক বলেন, খালেদা জিয়াকে কে মুক্তি দেবেন, প্রধানমন্ত্রী না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিম ভাই। উনাকে মুক্তি দিতে পারবেন একমাত্র আদালত। আদালত ছাড়া খালেদা জিয়া কোনদিন মুক্তি পাবেন না। নানক বলেন, আমরা বিয়ের পর সংসারে যেভাবে সব কিছুতে সমঝোতা করে চলতে হয়, ‘রাজনীতিতেও দল আমাদের একটি পরিবার। এই পরিবারেও সমঝোতা থাকতে হবে। দলে ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের প্রধাণ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনে যারা নেতৃত্বে দেবেন, সেই নেতৃত্বের মধ্যে যেন কোন বিভেদ সৃষ্টি না হয়। নিজের রাজনৈতিক জীবনে সহকর্মীদের সঙ্গে কোন দিন দ্বিমত হয় নি  উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, তখন  সভাপতি ছিলেন আব্দুল মান্নান। কোনদিন কোন দ্বিমত হয় নি। যখন যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন  সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মির্জা আজম।  কোনদিন দ্বিমত হয়নি। বিডিয়ার বিদ্রোহ দমনে নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাদের এক সাথে পাঠিয়েছিলেন। আমরা একসঙ্গে বিডিআর বিদ্রোহ দমনে গিয়েছিলাম। যাবার সময় নেত্রীর চোখে জল দেখেছিলাম। নেত্রীকে বলেছিলাম, কেন নেত্রী আপনার চোখে জল, আমাদের তো মৃত্যু হয়ে যেতে পারতো ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে। আমরা তো অতিরিক্ত জীবন কাটাচ্ছি। আপনি দোয়া করবেন। বলেই আমরা রওনা হলাম.....’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App