×

জাতীয়

৯০ লাখ নাগরিক ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৫৪ পিএম

৯০ লাখ নাগরিক ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন

ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের লক্ষ্যে এবার ৯০ লাখেরও বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। ১৫-১৮ বছর বয়সী (২০০১-২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম) এসব নাগরিকের ছবি, চোখের আইরিশ ও ১০ আঙুলের ছাপসহ নিবন্ধন কাজ নভেম্বরে শেষ হয়েছে। ২০২০-২০২২ সালে পর্যায়ক্রমে এদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সে হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় অন্তত সোয়া ১১ কোটি ভোটার থাকবে, যেখানে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখের মতো।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হবে তাদের নাম খসড়া তালিকায় প্রকাশ করা হবে। দাবি-আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষে চ‚ড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেই সঙ্গে তাদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে। হালনাগাদের পর প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ এবং ৩১ জানুয়ারি চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান থাকলেও এবার আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান সময়সীমায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

ভোটার তালিকা আইনে বলা রয়েছে, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে হালনাগাদ করা হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি ভোটার তালিকা এভাবে হালনাগাদ করা না হয় তাহলে এর বৈধতা বা ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ণ হবে না।

হালনাগাদের আগে বর্তমানে দেশের ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন ভোটারের মধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ১২ হাজার ১০৫ জন পুরুষ, আর ৫ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৬ জন নারী। অর্থাৎ ভোটার তালিকায় পুরুষ ও নারীর অনুপাত ৫০.৪২:৪৯.৫৮। প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ নতুন ভোটার বিবেচনায় এবার হালনাগাদে প্রায় কোটি ভোটারের তথ্য সংগ্রহের ধারণা করা হয়েছিল। কিছু এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ না করার অভিযোগও উঠেছিল। গত জুলাইয়ে ইসি সচিব আলমগীর সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, বাড়ি বাড়ি যায় নাÑ এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে এবং সেটা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ আনা হবে। খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে দায়িত্ব অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। প্রথমবারের মতো ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত হয়। এরপর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও মৃতদের বাদ দেয়াসহ হালনাগাদ কাজ চলে।

২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে হালনাগাদ করা হয়। এবার সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছিল ২৩ এপ্রিল। এ হালনাগাদে (১৫-১৮ বছর বয়সী) ৪ বছরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এ রকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন করা হয়।

এর মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের ১৮ বছর পূর্ণ হলে ২০২২ সালের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় আকারের এ হালনাগাদ হলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App