×

সারাদেশ

প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম

‘ইমুন আজরাইল আইলো, আমার মাইয়াডারে অত্যাচারও করলো, আবার জবাই কইরা মাইরাও ফালাইলো’ এভাবেই বিলাপ করে বলছিলো মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা-বাস্তা গ্রামের হত্যাকান্ডের শিকার প্রতিবন্ধী ছমিরনের মা নুরজাহান (৭৫)।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পার্শবর্তী বড় কালিয়াকৈর গ্রামের মৃত আমোদ আলীর পুত্র লোকমান হোসেন (৩৫) প্রতিবন্ধী ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে।

সরেজমিনে জানা গেছে, গোলাইডাঙ্গা-বাস্তা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ছমিরন (৪৫) মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে বাবার বাড়িতেই থাকতো। মাঝে-মধ্যেই মাদকাসক্ত লোকমান তাকে উত্যক্ত করতো। ঘটনার রাতে পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী বাস্তা মাদরাসায় ওয়াজ শুনতে যায়। এ সুযোগে লোকমান কৌশলে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ শেষে তাকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরিবারের লোকজন ওয়াজ শেষে ফেরার পথে বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় রক্তমাখা অবস্থায় লোকমানকে দেখতে পায়। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল মজিদ লোকজন নিয়ে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক লোকমানকে গ্রেপ্তার করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের স্ত্রী সেবিকা আক্তার সুমি (৩০) বাদী হয়ে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) লোকমানকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্ততারকৃত লোকমান হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App