শারমীন জোহা শশী’কে দর্শক আজ যতোটুকু চেনেন জানেন তার নেপথ্যে সবচেয়ে বড় যে ভূমিকা তা হলো তার অভিনীত কোহিনূর আক্তার সূচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমাটি। কারণ এই সিনেমায় টুনি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছিলেন শশী। এই সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন মাহফুজুর রহমান খান, যিনি গতকাল ইন্তেকাল করেছেন। এই সিনেমার জন্যও মাহফুজুর রহমান খান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তাই আজ শশীর জন্মদিন হলেও মনটা তার ভীষণ খারাপ। আজকের দিনটি কেমন করে কোথায় কীভাবে কাটবে জানেন না শশী।

মাহফুজুর রহমানের চলে যাওয়া প্রসঙ্গে শারমীন জোহা শশী বলেন,‘ সত্যি বলতে কী হাজার বছর ধরে সিনেমাটির সাথে সম্পৃক্ত প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে আমার আত্নার সম্পর্ক। এই সিনেমাটি সূচন্দা আন্টির প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন শ্রদ্ধেয় বেলাল আহমেদ। তিনিও বেশ কয়েক বছর আগে চলে গেলেন। গতকাল চলে গেলেন শ্রদ্ধেয় মাহফুজুর রহমান খান। যেহেতু আমার কাছে এই সিনেমার প্রত্যেকের সঙ্গেই আত্নার সম্পর্ক, তাই তাদের কারো চলে যাওয়া মানে আমার মধ্যে বিরাট এক শূণ্যতার সৃষ্টি হওয়া। আমার মনে হয় একজন মাহফুজুর রহমান খানের চলে যাওয়া মানে আকাশের এক নক্ষত্রের পতন। এমন মাহন মানুষের আগমন এই দেশে আর আদৌ হবে কী না সন্দেহ আছে। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসীব করেন।’

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে শশী অভিনীত ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো। শারমীন জোহা শশী হাজার বছর ধরে’ সিনেমার পর খিঁজির হায়াত খানের নির্দেশনায় ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ সিনেমাতে অভিনয় করেন। এতে তিনি বীরজায়া মিলি রহমান অর্থাৎ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। অবশ্য এই গল্প নিয়ে একটি টেলিফিল্মও নির্মিত হয়েছিলো যাতে অভিনয় করেছিলেন রিয়াজ ও তারিন। শারমীন জোহা শশী বর্তমানে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। নাটকগুলো হচ্ছে জাহিদ হাসানের ‘হুলস্থুল’, নিয়াজ মাহবুবের ‘জলকুমারী’, আজাদ আবুল কালামের ‘টুইন ভিলেজ’, মুসাফির রনির ‘ঘুনপোকা’, শাহীন সরকারের ‘জ্ঞানী গঞ্জের পণ্ডিতেরা, সরকার মিল্টনের ‘অরুণিমা অবশেষে’, বিপ্লব হায়দারের ‘জুলি বিউটিফুল’। সাতটি ধারাবাহিকে কাজ করছেন তিনি। এরইমধ্যে বিজয় দিবসের বিশেষ নাটক ‘আগুন ঝরা দিনগুলো’তেও অভিনয় করেছেন শশী। এতে তার বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী।