×

বিনোদন

দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে

Icon

nakib

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৩৫ পিএম

দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে
দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে
দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে
দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে
দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে
দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে
দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে
দশ বছরেই বিস্ময়কর পরিবর্তন সিনেমা শিল্পে

আগে মানুষ একটা সিনেমা দেখার জন্য সিনেমা হলে যেত। সেখানে বড় পর্দায় অভিনেতাদের অভিনয় উপভোগ করত। তবে এখন সেই সিনেমা হলও আগের মতো দেখা যায় না। কম্পিউটার বা মোবাইলটা একটা সিনেমা হল হয়ে যাচ্ছে। হয়তো কোন অভিনেতা ছাড়াই ছবি বানানো হয়ে যাচ্ছে। যদি মোবাইলেই নতুন মুক্তি পাওয়া বিশাল বাজেটের সিনেমা দেখতে পারে মানুষ তবে হলে যাবেই বা কেন?

প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে সিনেমাশিল্প পরিবর্তিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে গত এক দশকে যে দ্রুততার সাথে পরিবর্তন হয়েছে তা পুরোপরি বদলে দিয়েছে সিনেমা দেখা কিংবা সিনেমা বানানোর ধারণাকে। কতদূর বদলে যাবে এ শিল্প বা ২০২০ য়ের দশকে কি ধরণের পরিবর্তন আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ২০৩০ য়ের দশকে সিনেমা মানুষকে দিবে এক ধরণের বাস্তব অনুভূতি। সে সময়ের স্পাইডারম্যান সিনেমাতে মানুষ মস্তিষ্কের সেলকে কাজে লাগিয়ে নিজেই দেয়াল বেয়ে উপরে উঠার বাস্তব অনুভূতি নিয়ে সিনেমা দেখবে। এমনই এক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে নেটফিক্স।

 

গত এক দশকে সিনেমা শিল্পের বদলে যাওয়ার গল্প নিয়ে কথা বলা যাক..

সরাসরি স্ট্রিমিংয়ের যাত্রা ২০১০ সালের আগে নেটফিক্স তাদের সরাসরি সম্প্রচার শুরু করেনি এবং ২০১৫ সালের আগে নিজেরা কোর ছবি বানাতে যায়নি তারা। তখন থেকে অ্যামাজন ও নেটফিক্স কিছু সেরা ছবি মুক্তি দেয়। কোল্ড ওয়ার, রোম, দ্যা আইরিসম্যানের মতো ছবি বাজারে আনে নেটফিক্স। তবে কান চলচিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিযোগিতায় অনলাইনে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোকে হলে দেখানো হয় না বলে স্বীকৃতি দেয়নি বা প্রতিযোগিতায় রাখেন।

মিট্যু আন্দোলনের পর নারীদের উপর নির্যাতণ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক নিয়েও ব্যাপক আলেচনা হয়। তখন থেকে বেশ কয়েকটি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় নায়িকাদের। সামনে এ প্রবনতা আরো বাড়তে পারে।

গত দশকটি ছিল এ্যানিশেন ছবির জনপ্রিয়তার সেরা একটি সময় যাকে অনেকে ডিজনি দশকও বলে থাকে। মাসের পর মাস লাইভ অ্যাকশন দিয়ে দ্যা লায়ন কিংয়র মতো ক্লাসিক মুভি মুত্তি দেয়া হয়। তাইতো গত ১০ বছরের ব্যবসা সফল ছবিগুলোর মধ্যে ৮ টি ছবি ছিল ডিজনি সিরিজের।

তাছাড়া একের পর এক সিনেমায় সুপার হিরোদের শাসন করার গল্প দেখা যায় শ্রেষ্ঠ সিনেমাগুলোতে। গত শতকে গল্পের বইয়ে সুপারহিরোদের কাহিনী পড়লেও এ দশকে তাদেরকে বাস্তবে নিয়ে আসা হয়। এক্সম্যন, স্পাইডারম্যান, সুপরম্যান, বেটম্যান ও জুকারের মতো সিমেনাগুলো নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

২০০০ সালের দশকে হরর মুভিগুলোর জন্য ভালো সময় কাটেনি। তবে এ দশকে ভালো কিছু মুভি দর্শকদের মনে ভয়ের কাপর ধরিয়ে ফেলে। এসম মুভির মাজে রয়েছে গেটআউট এন্ড আস, দ্যা উয়িট, দ্যা লাইটহাউস, ইট ফলোস, এ কুয়াইট প্লেসের মতো বিখ্যাত কিছু ছবি।

পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে বেশ কিছু আলোচিত সিনেমা মুক্তি পায় গত দশকে। মেড ম্যাক্স: ফিউরি রোড, জম্বিল্যন্ড, আই এম এ লিজেন্ড বেশ সাড়া ফেলে দেয়। আগামীর ভবিষ্যত নিয়েও বেশ কিছু মুভি আলেচনায় আসে। আফটার আর্থ, অবলিভিয়ন, ইন্টারসেলার মুভিগুলো অন্য গ্রহে মানুষের পরিবর্তিত জীবনধারা ও বিজ্ঞানের আধুনিক উপস্থিতি তুরে ধরা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App