×

সারাদেশ

সংকটেও এগিয়ে পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম

সংকটেও এগিয়ে পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়

মতলব উত্তরে নানামুখী সংকটেও পিছিয়ে নেই ইমামপুর পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা। শ্রেণীকক্ষ সংকট, পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণের অভাব, ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জন্য নেই পর্যাপ্ত ব্যাঞ্চ, নেই কম্পিউটার ল্যাব তারপরও এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। প্রতি বছরই ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যালয়টিতে শ্রেণীকক্ষের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিল্ডিংয়ের পলেস্ত খসে পড়ার ভয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত জমি থাকলেও খেলার মাঠটি অভরাট হওয়ায় ক্রীড়ামোদী শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও বর্ষণে মাঠে পানি জমে থাকে।

এ অঞ্চলে শিক্ষা বিকাশে ১৯৩৭ইং সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করে এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবছরেই জেএসসি ও এসএসসিতে ভাল ফলাফলের করণে বেড়ে যায় শিক্ষার্থী সংখ্যা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের অভাব, ব্যাঞ্চ স্বল্পতা, কম্পিউটার ল্যাবের অভাবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করতে সমস্যা ও মাঠে পানি থাকায় খেলাধুলা করতে সমস্যা হয় বলে জানান। এছাড়াও বিদ্যালয় প্রধান একাডেমিক ভবনটির ছাদের পলেস্তরা খুলে পড়ছে বলে জানান। বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষা ফারুক আহমেদ বাদল বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের দাবী জানান। জাতীয়করণ বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাণে দাবী বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতি সপ্তাহে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর বাড়ীতে সকালে অথবা সন্ধ্যায় পড়াশোনার খবর নেয়া হয়। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকগনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। নিয়মিত পাক্ষিক পরীক্ষা নেয়া হয়। নানা সংকটেও বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সুচারুরূপে চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয় ২০ জন শিক্ষক ও ৫ জন কর্মচারী রয়েছে। নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষানুরাগীদের কাছ থেকে অনদান হিসেবে কয়েকটি ল্যাপটপ দিয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালিয়ে নিচ্ছি। কম্পিউটার ল্যাব চেয়ে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষে কাছে আবেদন করেছি।

তিনি আরো জানান, ভালো ফলের জন্য শিক্ষকরা নিবেদিতপ্রান। বিদ্যালয়ের পাঠদানের বাইরেও বিশেষ ক্লাস নিয়ে থাকেন। আমরা অভিভাবক ফোরাম গঠন করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। উপজেলার কয়েকটি সরকারী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ও বিভিন্ন বির্তক প্রতিযোগিতায় উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরেই শ্রেষ্ঠত্ব্য প্রমান করেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App