×

সাহিত্য

‘বিদ্রোহী বুড়িগঙ্গা’র ক্যানভাসে ইতিহাসের চিত্রায়ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:২১ পিএম

‘বিদ্রোহী বুড়িগঙ্গা’র ক্যানভাসে ইতিহাসের চিত্রায়ন
বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে আছে রাজধানী ঢাকা। আর ঢাকার ৪০০ বছরের ইতিহাসের সাথে মিশে আছে বুড়িগঙ্গা। ইতিহাসের সত্যের সাথে কল্পনার রংতুলিতে সাহিত্যের কারিগর তথা সৃজনশীল মানুষেরা বুড়িগঙ্গাকে চিত্রিত করেছেন নানাভাবে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার শাসনামলের হীন ষড়যন্ত্র, ঘসেটি বেগমের মতিঝিলে আসা-যাওয়া, নৌকাডুবিতে বুড়িগঙ্গাতেই নবাবের কোন স্বজনের মৃত্যু। এই বুড়িগঙ্গাকে নিয়ে রয়েছে ইতিহাসমিশ্রিত নানা ধরনের বিয়োগান্তক গল্প। ইতিহাসের স্বাক্ষী রাজধানীর তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এককালের প্রমত্তা বুড়িগঙ্গাকে এবার যাত্রাপালা রূপে মঞ্চে এনেছে বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড.আমিনুর রহমান সুলতান। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমিতে পরিবেশিত হয় ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গবেষণালব্ধ ‘বিদ্রোহী বুড়িগঙ্গা’ নামের এই যাত্রাপালাটি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে এই যাত্রাপালাটি পরিবেশন করে দেশের শীর্ষস্থানীয় যাত্রা দল দেশ অপেরা। নির্দেশনায় ছিলেন যাত্রাব্যক্তিত্ব মিলন কান্তি দে। এটি ছিল দলের নতুন প্রযোজনার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। যাত্রাপালা ‘বিদ্রোহী বুড়িগঙ্গা’ নিয়ে এর রচয়িতা ড.আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, রক্তরাঙ্গা পলাশীর বিয়োগান্তর ঘটনার পর ইংরেজদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল সন্ন্যাসী, ফকির ও তাঁতি সম্প্রদায়। একসময় তাদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ও বেদনার বিস্তৃতি ঘটে বিক্ষোভে ও বিদ্রোহে। আর ইতিহাসের এই বিষয়টি আমি চম্পা বাঈ, শুভংকর, অঞ্জলী প্রভৃতি চরিত্রের মাধ্যমে প্রতীকি ব্যঞ্জনায় ঐতিহাসিক যাত্রাপালা ‘বিদ্রোহী বুড়িগঙ্গা’য় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই পালায় দুটি বিষয়ের অবতারণা করেছি, যা এর আগে নবাব সিরাজউদ্দৌলাহর ঘটনা সংক্রান্ত কোন নাটক বা যাত্রাপালায় দেখানো হয়নি। এর একটি হচ্ছে- গুপ্তচর হিসেবে ঢাকার চম্পা বাঈকে সৃষ্টি করা আরেকটি হলো জগদ্বিখ্যাত ঢাকার ‘মুসলিম’ উচ্ছেদের জন্য তাঁতিদের ওপর ইংরেজ বেনিয়দের অমানুষিক নির্যাতন। আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলাহ’ ও সুপ্রকাশ রায়ের ‘ভারতের কৃষক বিদ্রোহ’ ও ‘গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ গ্রন্থগুলো গবেষণা যাত্রাপালা ‘বিদ্রোহী বুড়িগঙ্গা’ রচনার ক্ষেত্রে আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। দর্শকদের ভালো লাগলেই আমার নির্মাণ স্বার্থক হবে বলে মনে করি। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মিলন কান্তি দে, মঞ্জুরুল আলম লাবলু, টিপু, সুদর্শন চক্রবর্তী, আলী নূর, আননূর রাশাদ, সাদ্দাম, শংকর সরকার, শাহানা ইসলাম তপতী, গোধূলী, মনিমালা প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App