×

সারাদেশ

রোগটা অজানা, হচ্ছে না চিকিৎসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:২৬ পিএম

রোগটা অজানা, হচ্ছে না চিকিৎসা

যে কানে স্মরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ শুনে লেখাপড়া করে একজন মানুষের মতো মানুষ হওয়ার কথা, সেই কান দিন দিন বড় হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কানের অজ্ঞাত রোগে ভুগছে শাহজালাল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঝুলন্ত কানও বড় হয়ে যাচ্ছে। ২০০৭ সালে শাহজালালের জন্ম। শাহজালাল পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার ধুলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী গ্রামের মো.শাহজাহান মুন্সী ছোট ছেলে। এক বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে মো. শাহজালাল সবার ছোট।

চিকিৎসকরা বলেছেন-তার কানের একটি অপারেশন করলেই সে সুস্থ্য হবে। অপারেশনে ব্যয় হবে অনেক টাকা। তার পরিবারের পক্ষে এতো টাকা চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই পরিবারটি এখন তাদের সর্বকনিষ্ঠ ছেলের এমন নিয়তি মেনে নিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে কান ততই বড় হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি অপারেশন করা যায় ততই ভালো হবে। দেরি করলে কানের সমস্যা আরো বাড়তে পারে। আবার এ রোগে মস্তিস্কে প্রভাব পড়তে পারে।

সরেজমিনে শাহজালালের মা মোসা.তোফেয়া বেগম জানান, শাহজালাল জন্মের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত। তখন কানের উপরে ছোট একটি গোটার মতো ছিলো। আস্তে আস্তে বড় হয়ে কানসহ ঝুলে পরছে। পাঁচ বছর বয়সের সময় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা ১১ হাজার টাকা চুক্তিতে অপারেশন শুরু করেছিলেন কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত বের হওয়ার কারণে অপারেশন বন্ধ করে দেন। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। টাকার অভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি।

চাপলী বাজারের চায়ের দোকানদার বাবা শাহজাহান বলেন, শাহজালাল স্কুলে যেতে চায় না। স্কুলে গেলে অন্য শিশুরা ভয় পায়। আবার কেউ কেউ টিটকারী (বাজে মন্তব্য) করে। স্কুলে দিয়ে আসলে কতক্ষণ পরে চলে আসে। অন্যান্য শিশুদের চিন্তা করে শিক্ষকরাও আগ্রহ দেখায় না। তাই এখন আমার সাথে দোকানে থাকে। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে শাহজাহান বলেন, মাঝে মাঝে রাগ উঠলে এটা সেটা ভাংচুর করে। বিশেষ করে যখন কানের ভিতরে চুলকায় তখন অস্বভাবিক আচারণ করে।

শাহজালালের মা মোছা. তোফেয়া বেগম বলেন, ওর চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হবে। আমাদের পক্ষে খরচ বহন করা সম্ভব নয়। ছেলের চিকিৎসায় তিনি সামাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App