×

সারাদেশ

চিরিরবন্দরে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম

চিরিরবন্দরে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
চিরিরবন্দর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে এবার ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে সোনালী ধানের শীষ। মাঠে আমন ধানের শীষ দেখে কৃষকের মুখে ফুটছে উজ্জ্বল হাসি। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া মাঠ সেজেছে সবুজ ও হলুদ রঙে। ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। মাঠজুড়ে কৃষকের ফলানো সোনালী রং ধানের ছড়াছড়ি। বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন এবং প্রতি বিঘায় অতন্ত ২২ থেকে ২৪ মণ ধান উৎপাদন হবে এমন আশা করছেন এ উপজেলার কৃষকরা। এ সময় কৃষক ও দিন মজুররা দলবদ্ধভাবে জমিতে ধান কাটার ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদেরকে নানাভাবে সাহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও। ইতোমধ্যে আগাম ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। উপজেলার পুনটি ইউনিয়নের এক ন কৃষক জানান, এ বছর পাচঁ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। এমন সুন্দর ধানের ফলন দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে। অমরপুর ইউনিয়নের কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। গত বারের তুলনায় আমি এবার আশানুরূপ ভালো ফলন পাবো । তবে নিচু জমিগুলোতে আট থেকে ১০ দিনের মধ্য পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা। বাজারে ধানের পর্যাপ্ত মূল্য না থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, বাজারে বর্তমানে ধান ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকা দরে কেনাবেচা চলছে। ধানের মূল্য কমপক্ষে এক হাজার টাকা যেন থাকে সে ব্যাপারে সারকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে যে পরিশ্রম আর ব্যয় করা হয়, সে তুলনায় ধানের মূল্য তারা পাচ্ছেন না। ফলে ধান চাষের আগ্রহও হারিয়ে ফেলছেন অনেক কৃষক।চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলা একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল । উপজেলায় এবার ২৪ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছেন। অধিকাংশ জমিতে কৃষক স্বর্না, স্বর্না - ৫ ধানী গোল্ড, , হাইব্রিড-ব্রি-১১, ৩৪, ৪৯ , ৫২, ৭০, ৭৫, ৭৯, ৮০,৮৭,৯০ও বিনা-১৭ এবং স্থানীয় জাতের রোপা আমন ধান রোপণ করেছেন।অনেক জমিতে পোলাওয়ের ধান হিসেবে পরিচিত সুগন্ধি ও কালিজিরা ধান চাষ করেছেন। সুগন্ধি ধানের বাজার মূল্য সব সময় বেশি। বর্তমানে মাঠে-মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। এবার ধানের রোগবালাই কোনো কোনো স্হানে কিছু হলেও কোনো কোনো স্হানে নেই বললেই চলে। কৃষকেরা আগাম ব্যবস্থা নেয়ায় কোনো রোগবালাই ছড়িয়ে পড়েনি। কৃষকরা অনেক আশা ভরসা নিয়ে নতুন উদ্যমে নতুন ধান অধিক জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২৪ হাজার ৩৩২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা তাদের কাংখিত ফসল এবার অর্জন করতে পারবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোনো ক্ষতি হয়নি। কৃষকরা যেন ভালোভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারে, তার জন্য আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা ফসলি মাঠে গিয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এই উপজেলায় ৩৭৭০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচি এর আওতায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App