×

সারাদেশ

রামগঞ্জে মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:১৩ পিএম

রামগঞ্জে মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩

লক্ষীপুর রামগঞ্জ উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শাহমিরান আলিম মাদ্রাসাতে চিহিৃত বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাংচুর ও ৩ শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করে।

সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শাহমিরান আলিম মাদ্রাসায় এমন ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মো. নুরুজ্জামান খানের পদত্যাগের দাবীতে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিষ্ঠানের মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বেলা ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে।

সুত্রে জানা যায়,উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউপির শাহমিরান আলিম মাদ্রাসার আরবী প্রভাষকের পদোন্নতি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এ.টি.এম আবদুল্লাহ ভুইয়ার সাথে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. নুরুজ্জামান খানের বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সভাপতি মো. নুরুজ্জামান খান ১লা ডিসেম্বর-২০১৯ রোববার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডেকে সরকারী নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করেই অধ্যক্ষকে একই সাথে শোকজ নোটি ও সাময়িক বহিস্কার করে এবং জৈষ্ঠতা লঙ্গন করে তড়িগড়ি করে প্রভাষক নাজমুল আলমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিদ্যালয়ের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার সকালে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিষ্ঠানের মাঠে অবস্থান কর্মসুচি শুরু করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সংবাদ দায়িত্ব পাওয়া অধ্যক্ষ নাজমুল আলম মুঠো ফোনে সভাপতি নুরুজ্জামান খানকে জানায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে সভাপতি নুরুজ্জামান তার ভাতিজা পুটুন-মামুনের নেতৃত্বে বহিরাহত সন্ত্রাসী গ্রুপকে হামলা করার নির্দেশ দেয়। এতে করে পুটুন-মামুনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী গ্রুপ অতর্কিত ভাবে মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লাঠি পেটা করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। হামলায় আন্দোলরত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ,মোহাম্মদ উল্যাহ,সাকিল হোসেন গুরুতর আহত হয়।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, রোববার প্রতিষ্ঠানে কোন সভা না করে সভাপতি পুর্বে তৈরী করায় রেজুলেশনে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে অধ্যক্ষের হাতে শোকজ ও সাময়িক বহিস্কারপত্র এবং প্রভাষক নাজমুল আলমের হাতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কপি তুলে দেন। অধ্যক্ষ এ.টি.এম আবদুল্লাহ বলেন, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির খাম-খেয়ালীপনা এবং বিধির বিরুদ্ধে কাজ না করায় পরিকল্পিত ভাবে আমাকে একই সময় শোকজ ও সাময়িক বহিস্কার পত্র হাতে ধরিয়ে দেয়।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন,বিগত ১০ বছরে আর্থিক হিসেব না দেয়া এবং আরবি প্রভাষক আব্দুস ছাত্তারের পদোউন্নতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় অধ্যক্ষকে শোকজ ও সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। অধ্যক্ষকে বহিস্কার করায় তার অনুগত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করায় আমার ভাইপোরা গিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে বলে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. হুমায়ুন রশিদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নির্দেশে আমি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা মুখী করাই। তবে সভাপতি কোন ক্ষমতার বলে একই সাথে অধ্যক্ষকে শোকজ ও সাময়িক বহিস্কার করছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App