×

সারাদেশ

নিবন্ধন ছাড়া এনজিও চলে তো প্রশাসন কি করে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:২০ পিএম

নিবন্ধন ছাড়া এনজিও চলে তো প্রশাসন কি করে

ভুয়া এনজিওর মালিক আব্দুল বারিক

অনুমতি ছাড়াই এনজিও কার্যক্রম পরিচালিত হলে প্রশাসন কি করে, রাগান্বিত হয়ে জানতে চাইলেন যশোরের চৌগাছার সেই ভুয়া এনজিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল বারিক। রবিবার (১ ডিসেম্বর) তার সাথে যোগাযোগ করা হলে নিবন্ধন ছাড়া এনজিও চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন। সরকারি অনুমতি ছাড়া রশিদের মাধ্যমে জামানত এবং সাধারন জনগনের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে টাকা নেওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,"আমি তাদেরকে দিয়ে টাকা সংগ্রহের কাজ করিয়েছি। সেই টাকা তারা আমার কাছে সঠিকভাবে জমা দিবে তারই বা নিশ্চয়তা কি? তাই জামানত রাখা। আর যেহেতু এটা আমার ব্যবসা এবং গ্রামের মানুষদেরকে আমি বিভিন্ন ভাবে গরু-ছাগল বিভিন্ন পণ্য দিব তাই তাদের থেকে কিছু ডাউন পেমেন্ট নিচ্ছি। তার হয়ে কাজ করা কর্মচারীদের বেতন নাদেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের সেলারি শীট আমার কাছে আছে এটা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আমি তাদেরকে বেতন দিয়েছি কিনা? কত মাসের বেতন দিয়েছেন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন আমাকে একটু সময় দেন আমি আবার ফিরে আসবো আমার এই ব্যবসাটা আপনারা নষ্ট করবেন না। ব্যবসায় আমার প্রায় ৩৩ লাখ টাকা লগ্নি করা আছে। তবে এই এনজিও পরিচালনার জন্য যে কোন নিবন্ধন নাই বা সরকারি অনুমোদন নাই এ কথা তিনি স্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য যে ৩০ নভেম্বর গণমাধ্যমে অর্ধ কোটি টাকা মেরে পালিয়েছেন চৌগাছার এক ভুয়া এনজিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের সাথে সাথেই ৩০ নভেম্বর সকাল ১০ টায় তিনি তার অফিসের কিছু কর্মকর্তাকে মুঠোফোনের মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন বারিক। কিন্তু তারপর থেকে আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এদিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে ভুক্তভোগী সকলেই তাদের ন্যায্য টাকা ফিরে পাওয়ার আশায় আদালতের শরণাপন্ন হবেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় যে,এই ভুয়া এনজিও পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য তারা সমাজসেবা অফিসে সাত জনের একটি কমিটি জমা দিয়েছিলেন বারিক। সেই কমিটিৱ সাত জন হচ্ছেন, সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ-সভাপতি জাহিদের শ্বশুর আবু বক্কর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুন উদ্দিন,কোষাধক্ষ্য বারিকের বউ জুলেখা বেগম,কার্যকারী সদস্য সাইফুল ইসলাম ও জাহিদের বউ বিউটি খাতুন। কমিটি সম্বন্ধে জানতে চাইলে সভাপতি জাহিদ সমস্ত ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। নিজেকে সেই কমিটির সভাপতি হিসেবেও অস্বীকার করেন তিনি। জাহিদ বলেন একসময় বারিক আমাদেরকে বলেছিল নিবন্ধন করতে গেলে একটি কমিটি জমা দিতে হয় তারপরে সে কি করেছে তা আমি আর জানিনা। কিন্তু কমিটিতে সভাপতি হিসেবে জাহিদ আছেন এবং সমাজসেবা অফিসে জমা দেওয়া সেই কমিটিতে জাহিদের নিজস্ব স্বাক্ষর ও আছে। আরও জানা যায় যে বারিক পলাতক হওয়ার পর থেকে জাহিদ এবং আরো কয়েকজন যে সকল গরু গ্রাহকের কাছে দেওয়া ছিল তার মধ্যে কয়েকটি নিয়ে এসে বিক্রি করেছেন। তবে বারিক পলাতক থেকেও এই জাহিদ এবং মামুনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব জানান এখনো পর্যন্ত কোনো ভুক্তভোগী থানায় লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। তবে ইউএনও মহোদয়ের পাঠানো অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App