×

জাতীয়

ধর্ষণে শিশুকে হত্যা করে নিখোঁজ বলে মাইকিং!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:০৮ পিএম

ধর্ষণে শিশুকে হত্যা করে নিখোঁজ বলে মাইকিং!

ধর্ষক আমজাদ হোসেন

চকলেটের লোভ দেখিয়ে সাড়ে তিন বছরের শিশু মীমকে (৩) সন্ধ্যার পর ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন আমজাদ (১৯) নামের এক তরুণ। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় শিশুটি। তবে এই ফাঁকে নিজেকে আড়াল করতে শিশুটি নিখোঁজ বলে নিজেই মাইকিং করতে বের হন আমজাদ। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে উধাও হয়ে যান। পরে উন্মত্ত জনতা হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মধ্যডাঙাপাড়া গ্রামে। ঘটনার শিকার মীম মধ্যডাঙপাড়ার ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। আর ধর্ষক-ঘাতক আমজাদ একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় ঘাতক আমজাদ, তার চাচা শাহিনুর আলম (৪০) ও দাদী মমিনা বেগমকে (৫৫) আসামি করে পাবর্তীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আরিফুল ইসলাম। রোববার (১ ডিসেম্বর) পুলিশ গিয়ে শাহিনুর ও মমিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছে। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও পুলিশ মূল আসামি আমজাদকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। বিক্ষুব্ধ লোকজন ধর্ষকের বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, শনিবার বেলা ৩টার দিকে মীম নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে মীমের পরিবার। তবে সেই মাইকিং করা ভ্যানে বসা ছিল ধর্ষক ও ঘাতক আমজাদ নিজেই। তবে নিখোঁজের এক সময় ধর্ষকের চাচা শাহিনুর আলমের কথাবার্তায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তার ওপর মীমের খেলার সাথি জিহাদ (৫) তার পরিবারকে জানায়, মীমসহ কয়েকজন মিলে খেলা করার সময় আমজাদ চকলেটের লোভ দেখিয়ে মীমকে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এমন তথ্য পেয়ে মীমের পরিবার আমজাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘর তালাবদ্ধ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ রাত ৯টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে টেবিলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মীমকে উদ্ধার করে। এরপর পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের ধারণা, ধর্ষণের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার পর মীমের বাবা বাদী হয়ে আমজাদ, তার চাচা শাহিনুর ও দাদী মমিনাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাছাড়া পালিয়ে যাওয়া আমজাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় হৃদয় বিদারক সেই ঘটনায় পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আরিফুল ও নাসরিন জাহান পাগল প্রায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App