×

সারাদেশ

‘দুর্জয় বেতাগী’ মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:১৩ এএম

‘দুর্জয় বেতাগী’ মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস

আজ পহেলা ডিসেম্বর বেতাগী হানাদারমুক্ত । ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম রণাঙ্গন দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনার বেতাগী উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল অসীম সাহসী ভূমিকা।

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বেতাগী আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুললে ১ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসর্মপণ করলে হানাদার মুক্ত হয় বেতাগী।

একাত্তরের রণাঙ্গানে বেতাগীবাসীর অবদান কম নয়। জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও স্মৃতি যেন কালের গর্ভে হারিয়ে না যায় সে জন্যই ১৬ ডিসেম্বর ‘২০১২ সালে নির্মিত হয় ‘দুর্জয় বেতাগী’। মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হিসেবে মহান মুক্তি সংগ্রামে সর্বস্তরের জনগনের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণের এটি মূর্ত প্রতীক।

উপজেলার কচুয়া-বেতাগী ফেরীঘাট সংলগ্ন মোহনায় পীচঢালা সড়কের উপর ‘দুর্জয় বেতাগী’ স্তম্ভটি নির্মিত হয়েছে। সরকারী জায়গায় দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভটি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এতে ১৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম ও পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। সমাজ সচেতন জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক প্রয়াসে এটির নির্মাণকাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। স্মৃতি স্তম্ভটির নকশা করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। সমাজ সচেতন জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক প্রয়াসে নির্মাণ কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ ভাস্কর্যটিতে স্মৃতি ও শোকের আবহের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথাঁ। অসীম আকাশের দিকে দৃষ্টি গোলাকার আকৃতির স্তম্ভটির মুল অংশে ৪ ফুট বেদীর উপর রয়েছে অষ্টমভূজ। কালচে ও সাদা রঙের টাইলসে আবৃত প্রতিটিভূজে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। উপরিভাগে স্মৃতির মিনার হিসেবে মাথা উঁচু করে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতি সৌধ। যার মাধ্যমে স্মরণ করা হয়েছে শহীদদের যারা দেশের পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। ভেতরে তেজদীপ্ত রক্তিম লাল সুর্য যা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নয়া যৌবনের ও দেশ গঠনের আভা ছড়াচ্ছে। যার কোন তুলনা নেই। অনন্তকাল ধরে স্বাধীনতার প্রেরণা। কে আছস সামনে আয়। সোনার বাংলা গড়তে হাত বাড়াই। মনে তার দৃপ্ত সংকল্প এবং বাংলাদেশের অভুত্থানের গল্প।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App