×

খেলা

উদ্বোধনী দিনে ঢাকা ছাড়ল অ্যাথলেটিকস দল

Icon

nakib

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:২৬ পিএম

উদ্বোধনী দিনে ঢাকা ছাড়ল অ্যাথলেটিকস দল

নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে গতকাল বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এসএ গেমসের ১৩তম আসরের পর্দা উঠেছে। ১৯৮৪ ও ১৯৯৯ সালের পর তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমসের আয়োজন করল নেপাল। ১০ দিনের এই গেমসে ২৬টি ডিসিপ্লিনে ৩২৪টি সোনার লড়াইয়ে অংশ নেবেন ক্রীড়াবিদরা, যেখানে আগের মতোই ফেভারিট ভারত। আগের ১২টি আসরেই যে তারা ছিল সবার ওপরে।

তবে স্বাগতিক নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাও বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ইভেন্টগুলোতে নিজেদের সাধ্যমতো লড়াই করবে। ১৩তম সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে গতকাল নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে আটাশ সদস্যের বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস দল। সন্ধ্যায় দেশ ছাড়ার আগে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম আলী কবীর ও মিসেস কবীর এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ ও টিম ম্যানেজার মো. জামাল হোসেন, সদস্য ফারহাদ জেসমিন লিটি, মাহবুবা হোসেন বেলীসহ কোচরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যাথলেটিকস ডিসিপ্লিনের প্রতিযোগিতা মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে। বাংলাদেশ দলে ২২ জন অ্যাথলেট (১৪ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা), কোচ ৪ জন, ম্যানেজার ২ জন (পুরুষ ও মহিলা) রয়েছেন। এবারের গেমসের লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উড়ন্ত পায়রা’। আর মাসকট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বø্যাকবাক’ হরিণকে।

লোগো হিসেবে কেন উড়ন্ত পায়রা নির্ধারণ করা হলো? এ বিষয়ে লোগোর ডিজাইনার চারুশিল্পী ভোলানাথ পাউদেয়াল বলেছেন, এসএ গেমসের লোগোর জন্য ছয়টি নকশা জমা পড়েছিল। তার মধ্যে আমারটা নির্ধারণ করে নেপালের অলিম্পিক কমিটি। উড়ন্ত পায়রা হলো শান্তির প্রতীক। আর পায়রার পিঠের দিকে যে উঁচু অংশ রয়েছে, সেটি দ্বারা নেপালের হিমালয়কে নির্দেশ করা হয়েছে। পায়রার সাতটি পালক দিয়ে বোঝানো হয়েছে সার্কভুক্ত সাতটি দেশকে। ২০০৫ সালে আফগানিস্তান সার্কভুক্ত হওয়ার পর এসএ গেমসে অংশ নিচ্ছিল। কিন্তু এবার তারা অংশ নিচ্ছে না। তারা দক্ষিণ এশিয়া ছেড়ে মধ্য এশিয়ায় যুক্ত হয়েছে। সে কারণে সাতটি পালক রাখা হয়েছে।

মাসকট নির্ধারণের বিষয়ে নেপাল অলিম্পিক কমিটির সভাপতি জীবন রাম শ্রেষ্ঠা বলেছেন, আমাদের দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দেখা যায় ব্ল্যাকবাক হরিণ। কিন্তু বর্তমানে এটা বিলুপ্তপ্রায়। এটিকে মাসকট নির্ধারণের মাধ্যমে আমরা এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে রক্ষার বার্তা দিতে চেয়েছি। এবার এসএ গেমসে ৫৯৫ সদস্যের বড় কন্টিনজেন্ট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ক্রীড়াযজ্ঞের ত্রয়োদশ আসরে খেলা হবে ২৭ ডিসিপ্লিনে। প্যারাগ্লিডিং ও ট্রায়াথলন ছাড়া বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে বাকি ২৫ ডিসিপ্লিনে। এগুলো হচ্ছে- আরচারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, সাইক্লিং, ফেন্সিং, ফুটবল, গলফ, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, জুডো, কাবাডি, কারাতে, খো খো, শুটিং, স্কোয়াশ, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ানদো, টেনিস, ভলিবল, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও উশু।

সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জীবিত ফুটবল খেলছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের ১৬ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়ে গেছে লাল-সবুজরা। ভারত না থাকায় এ ডিসিপ্লিনেও বাংলাদেশ অন্যতম ফেভারিট। ১৯৯৯ ও ২০১০ সালের পর এবার স্বর্ণপদকের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের আসর থেকে ব্রোঞ্জ নিয়ে ফেরা বাংলাদেশের সামনে বড় বাধা ওই আসরে স্বর্ণজয়ী নেপাল।

আশার বাতি হয়ে জ্বলজ্বল করছে ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট। গত আসরে স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত এবারো প্রত্যাশার কেন্দ্রে। সীমান্ত ছাড়াও অন্যান্য ওজন বিভাগে বড় প্রত্যাশা নিয়েই গেছে বাংলাদেশ। সে প্রত্যাশা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়, তা দেখার বিষয়!

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App