বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে দেশের জনগণ আগামী ৫ ডিসেম্বর সত্যটা জানতে পারবে বলে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।

ফখরুল বলেন, আদালত ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন। আশা করি তারা সত্য কথাটা বলবেন।বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা এতোই ভয়ংকর ও ভয়াবহ যে, এই মুহূর্তে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ডাক্তার জানিয়েছে, বেগম জিয়ার যে ড্যামেজ তার হচ্ছে তা আর ফিরে আসবে না। তার বাঁ হাত, বা সাইটটা প্যারালাইসট। তিনি কারো সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। অথচ তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে পিজি পরিচালক বলছে। জ্ঞানহীন এই মানুষদের ধিক্কার জানাই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর নাম তারা একবারও উচ্চারণ মনে করে না। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায় কজেনারেল ওসমানীর নামও কেউ উচ্চারণ করে না। যদি কেউ করে তাহলে তার খবর আছে। তারা কাউকে সহ্য করতে পারে না। তাদের মানসিকতার মধ্যে আছে জমিদারি ভাব। ‘লর্ড শিপ’ আমিই সব, আমি ছাড়া আর কেউ নেই।

তিনি আরো বলেন, ‘আগামীতে জন্মোৎসব করা হবে, সেটা কার টাকায়? এটা জনগণের ফান্ড। এই সরকার জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পেঁয়াজ খান না বলে জানিয়েছেন। আমার স্ত্রীও আজ জানালো যে, সে আর পেঁয়াজ কিনবে না।মানুষ এখন শুধু চাল খাচ্ছে। তাই চালের ওপর চাপ পড়েছে। এগুলো শুধু বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে পরিহাস। এটা আমাদের জনগণকে নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর পরিহাস।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছেড়ে আপনারা গ্রামে গ্রামে বাজারে বাজারে যান। কথাগুলো মানুষকে বলেন, তাদের সম্মিলিত করার চেষ্টা করুন। এক সময় আমরা একটা চোঙ্গা মুখে নিয়ে বক্তৃতা করতাম। আমরা যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করি সার্বভৌমত্বকে বিশেষ করে আমাদের কাজ একটাই মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। শুধু বিএনপির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এখন সময় হচ্ছে ঐক্যের, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।