×

জাতীয়

শুদ্ধি অভিযানের প্রভাব মহানগর আ.লীগেও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৫৯ এএম

শুদ্ধি অভিযানের প্রভাব মহানগর আ.লীগেও

আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুই ইউনিট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সম্মেলনেও প্রভাব পড়বে চলমান শুদ্ধি অভিযানের। নেতৃত্বে আসবেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও ত্যাগী নেতারা। এমনটাই আশা করছেন দলের নেতাকর্মীরা। এই দুই ইউনিটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলন সফল করতে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ওই দিন প্রথম অধিবেশনের পর দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হতে পারে।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার দুই ইউনিটের শীর্ষ পদে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশীরা। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আশায় বুক বেঁধে আছেন ত্যাগী, পরীক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের নেতারা- যারা বিভিন্ন সময়ে দলের মধ্যে গ্রুপিং-কোন্দলের কারণে পদবঞ্চিত হয়েছেন।

অন্যদিকে ঝুঁকিতে আছেন নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিতরা। কারণ চলতি মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কয়েকটি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের সম্মেলনে শুদ্ধি অভিযানের বড় প্রভাব পড়েছে। ক্যাসিনোসহ নানা কারণে বিতর্কিতরা নতুন কমিটির নেতৃত্ব পাননি। বাদ পড়েছেন পুরনোরা। অনেকে সম্মেলনেই আমন্ত্রণ পাননি। ফলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সম্মেলনেও শুদ্ধি অভিযানের প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছেন নেতারা। নিজেকে ক্লিন ইমেজ ও ত্যাগী প্রমাণে দলটির নীতিনির্ধারকদের কাছে ছুটছেন তারা। মহানগরীর বিভিন্ন থানা আওয়ামী লীগের নেতারা ছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা আশা করছেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের শীর্ষ পদে বসানো হবে। তাতে সংগঠন আরো চাঙ্গা হবে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজনের নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও আইনজীবীদের নেতা এডভোকেট কাজী মো. নজিবুল্লা হিরু, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের বর্তমান সভাপতি আবুল হাসনাত, সহসভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, হুমায়ুন কবির, নুরুল আমিন রুহুল। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম এ আজিজের ছেলে ওমর বিন আব্দাল আজিজ ওরফে তামিম, ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাবেক উপকমিটির সহসম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ। উত্তরের সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান সভাপতি একে এম রহমতউল্লাহ, সহসভাপতি শেখ বজলুর রহমান, আসলামুল হক আসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কাদের খান। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি ও হাবিব হাসান।

সূত্রমতে, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি পদে একজন আদি ঢাকাইয়া খুঁজছেন আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে বেঁছে নেয়া হতে পারে। আবার সাঈদ খোকনকে ফের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী করা হলে তাকে সভাপতি করা হবে না। সেক্ষেত্রে ঢাকাইয়া হিসেবে বিকল্প কারো কপাল খুলে যেতে পারে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাউকেও এবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে দেখা যেতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App