×

জাতীয়

বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল সরকারের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৪ এএম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে অবশ্য তারা দুজনই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দলটির আরো কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। যদিও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চারজন নেতা ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। অন্য নেতারাও আগাম জামিনের পরিকল্পনায় রয়েছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আগাম জামিনের আগেই অভিযুক্ত নেতাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন অভিযুক্তরাও। এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ইঁদুর-বেড়াল খেলা চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপিকে চাপে রাখতেই পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র নেতারা বেশ কয়েকদিন ধরেই মাঠ গরম করার চেষ্টা করছিলেন। তাদের বক্তৃতা-বিবৃতিও বেশ আক্রমণাত্মক। গত রবিবার দলটির মহাসচিব ঘোষণা দেন, এরপর থেকে রাজপথের কর্মসূচি পালন করার জন্য আর সরকারের অনুমতি নেবেন না। তার এ ঘোষণার একদিন পরই মঙ্গলবার হঠাৎ হাইকোর্টের সামনে প্রথমে অবরোধ ও পরে ভাঙচুর করেন নেতাকর্মীরা। বিএনপির এই মারমুখো ভূমিকায় সতর্ক হয়ে ওঠেন ক্ষমতাসীনরা। দলটি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে অথবা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে সে নির্দেশনা আসে সরকারের তরফ থেকে। তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশও।

বিশ্লেষকদের মতে, বারবার সরকারের কৌশলের কাছে খেই হারিয়ে ফেলে বিএনপির আন্দোলনের ছক। সরকারি দলের নেতাদের নানা ফাঁদে পা দিয়ে রাজনীতির মাঠে নাকানিচুবানি খায় দলটি। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন রাজপথমুখী সরকারি দলের নেতারা তখন তাদের আন্দোলন করার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে উসকে দিচ্ছিলেন। আর তাতেই মাথা গরম করে ফেলে বিএনপি। সরকারি দলের নেতাদের কথার জবাব দিতে রাজপথে নেমে গাড়ি ভাঙচুর করে নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দেয়ার খেলায় মেতে ওঠে। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের এ তাণ্ডবে এখন অনেকটাই বেকায়দায় দলটি। ক্ষমতাসীন দলটি বিএনপিকে কোণঠাসা রেখেই বাকি মেয়াদ পার করতে চাচ্ছে। সে পরিকল্পনা থেকেই বিএনপিকে চাপে রাখতে নানান জটিল অঙ্ক নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা মনে করেছিলাম বিএনপি ভাঙচুর, সন্ত্রাসী, পেট্রলবোমার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনা প্রমাণ করে তারা কয়দিন বিরতি দিলেও তাদের মূলনীতি সন্ত্রাস আশ্রয়ী রাজনীতি, ভাঙচুরের রাজনীতি, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, পেট্রলবোমার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসেনি। হাইকোর্টের সামনে সেটি তারা দেখিয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল দেবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে না গিয়ে চক্রান্তের বদ্ধ চোরাগলিতে হাঁটছে। এক নিষ্ঠুর স্কিম বা ছক অনুযায়ী তারা কাজ করছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধ উন্মত্তের মতো আচরণ করছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ত করে কোনো চক্রান্ত সফল হবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App