×

খেলা

ঘুরে ফিরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৬ পিএম

ঘুরে ফিরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ

ঘুরে ফিরে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

মুশফিক

২০১৯ সাল শেষ হতে আরো এক মাস সময় বাকি আছে। তবে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই এ বছরের আন্তর্জাতিক শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০১৯ সালে ৫টি টেস্ট, ১৮টি ওয়ানডে ও ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। এ বছর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ঘুরে ফিরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছেন পঞ্চপাণ্ডবের এ দুজন। এ বছর বাংলাদেশের খেলা ৫ টেস্টের সবগুলোতে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর এ ৫ ম্যাচের ১০ ইনিংসেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এই ১০ ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ৩৩২ রান। এ বছর টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৩৬.৮৮। এই রান তুলতে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। টেস্টে রান তোলার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। যদিও তামিম বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটো টেস্ট ম্যাচই খেলেছিলেন। এই দুটো ম্যাচ খেলে তিনি করেন ২৭৮ রান। এই রান করতে একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। আর এ বছর বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচের সবগুলোতেই খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এই ১৮টি ম্যাচ খেলে তিনি করেন ৭৫৪ রান। এই রান তুলতে একটি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। ২০১৯-এ ওয়ানডেতে তার রান তোলার গড় ছিল ৫০.২৭। এ বছর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন সাকিব আল হাসান। জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ^কাপেই ৮টি ম্যাচ খেলে ৬০৬ রান করেন এ বিশ^সেরা অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে তিনি ১১টি ম্যাচ খেলে ৭৪৬ রান করেছেন তিনি। এ রান করতে সাকিব দুটি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফসেঞ্চুরি করেন।

[caption id="attachment_181587" align="alignnone" width="700"] মাহমুদউল্লাহ[/caption]

বাংলাদেশ এ বছর যে ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে তার সবগুলোতেই খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই ৭টি ম্যাচ খেলে তিনি রান করেছেন ১৭৯। তবে টি-টোয়েন্টিতে তার রান তোলার গড় তেমন ভালো ছিল না। ৭টি ম্যাচে তার রান তোলার গড় ছিল ২৯.৮৩। টি-টোয়েন্টিতে তিনি এ বছর একটি হাফসেঞ্চুরিই পেয়েছিলেন। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন নাইম শেখ। সদ্যসমাপ্ত হওয়া ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে অভিষেক হয় তার। সিরিজের ৩টি ম্যাচের সবগুলোই খেলেন তিনি। এই তিনটি ম্যাচ খেলে তিনি রান করেন ১৪৩। এই রান করতে তিনি একটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। ৫টি ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় তুলে নিতে পারেনি রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। উল্টো ৫টি ম্যাচের ৪টিতে ইনিংস ব্যবধানে হার মানতে হয় তাদের। এই ৫টি টেস্টের মধ্যে একটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এ বছর বাংলাদেশ ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৭টিতে জয় তুলে নেয়। এই ৭টি জয়ের মধ্যে ছিল আয়ারল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতেছিল টাইগাররা। আর ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয় তুলে নিতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। ৪টি জয়ের মধ্যে ৩টি ছিল আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে। আর বাকি ১টি জয় ছিল ভারতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ভারতের বিপক্ষে এটি ছিল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়। এদিকে পুরো ডিসেম্বরজুড়ে এখন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে দেশের ক্রিকেটপাড়া। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হবে ক্রিকেটাররা। সবকিছু ঠিক থাকলে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাবেন তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App