হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ের দিনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিগ্যানসহ দুই জঙ্গির মাথায় যে ‘আইএস’ টুপি ছিল সেটা কারাগার থেকেই এসেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মো. মাহবুব আলম ভোরের কাগজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের কাঠগড়া থেকে নামিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছিল। সে সময়ই রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় দেখা যায় কালো টুপি। সেখানে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকার চিহ্ন।

পরে দেখা যায় আরেক জঙ্গি জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধীর মাথায়ও রয়েছে একই ধরনের টুপি। রায়ের পর সেই টুপি পরা অবস্থায় প্রিজনভ্যানে দাঁড়িয়ে ছিল রাজীব গান্ধী। তার পাশে দাঁড়িয়ে হাসছিল আরেক জঙ্গি আসলাম হোসেন র‌্যাশ।

গণমাধ্যমে তাদের ছবি প্রকাশের পর প্রশ্ন ওঠে পুলিশ হেফাজতে কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে আদালতে আসা নব্য জেএমবির জঙ্গিদের কাছে টুপি এলো কীভাবে?

পরে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব হোসেন। আর দুই সদস্য হচ্ছেন ডিবি ডিসি উত্তর ও এডিসি (আইএডি)। প্রাথমিক তদন্ত সম্পর্কে মাহবুব আলম জানিয়েছেন, টুপিটা রিগ্যানের পকেটেই ছিল। কারাগার থেকে আনার পথে ব্যাপক নিরাপত্তা থাকে। তখন আসলে বাইরে থেকে টুপিটা সরবরাহ করার সুযোগ নেই। তাই টুপিটা কারাগার থেকেই এসেছে।

তবে তদন্ত প্রতিবেদন কবে নাগাদ পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে মাহবুব আলম বলেন, আমরা কাজ করছি। সময় লাগবে। জবানবন্দি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ নিচ্ছি। আর আসামিদের প্রয়োজনে ও সুযোগ থাকলে আমরা জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করব।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় পরে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।