×

জাতীয়

যেভাবে উদঘাটিত হয় লিটন হত্যা রহস্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সাংসদ লিটন কে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর হত্যার পর থেকে প্রায় দুই মাস মামলার তদন্তে তেমন কোন অগ্রগতি করতে পারেনি পুলিশ। হত্যা রহস্য ছিল পুরোপুরি ধোয়াশায়। পরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফাহিম মিয়া (২১) নামের এক কলেজছাত্র মোবাইল ছিনতাই ঘটনার সূত্র ধরে রহস্য উন্মোচিত হয় হত্যাকাণ্ডের। পুলিশ জানায়, লিটন হত্যার আগে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ পাকা সড়কের নতুন বাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন কলেজ ছাত্র ফাইম। এসময় মোটরসাইকেলে তিন যুবক তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ফাহিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ছিনতাইকারীরা। পরে স্থানীয়রা আলো জ্বালিয়ে ঘটনাস্থলে ছয়টি গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন সহ একটি পিস্তল পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি উদ্ধারের পর ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. সবুজ চৌধুরী সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান। পরে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে ফোনের আইএমইএ নম্বর সংগ্রহ করে ট্র্যাকিং করে পুলিশ জানতে পারে যে, গাইবান্ধা শহরের পুরাতন ব্রিজ রোড এলাকার মুজাহিদ নামে এক যুবক ফাহিমের ছিনতাই হওয়া ফোনটি ব্যবহার করছেন। পরে মুজাহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ২৫০০ টাকায় মোবাইলটি তার পরিচিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রায়হানের কাছে থেকে কিনেছেন। এরপর রায়হানকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি আনোয়ারুল ইসলাম রানার কাছ থেকে মোবাইলটি কেনার কথা স্বীকার করেন। এরপর রানার পরিচয় সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর তদন্ত চালিয়ে লিটন হত্যায় রানা, মেহেদী ও শাহীনের অংশ নেওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। একপর্যায়ে তাদের তিন জনের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে সাবেক এমপি কর্নেল আবদুল কাদের খাঁনের যোগসূত্র পায় পুলিশ। এমপি লিটন হত্যার পর পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আবদুল কাদের খাঁনকে নজরদারিতে রাখেন। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ রানা, মেহেদী ও শাহীনকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খাঁনকেও গ্রেপ্তার করে । গ্রেপ্তার রানা, মেহেদী ও শাহীন আদালতে তাদের জবানবন্দিতে ফাহিমের মোবাইল ছিনতাইসহ লিটন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App