বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আপনার বিচলিত হবেন না। র‌্যাব পুলিশের প্রয়োজন নেই, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য আত্মবিনাশী বিএনপিই যথেষ্ট। আওয়ামীলীগের প্রয়োজন নেই বিএনপিকে ধ্বংস করার। তিনি বলেন, যে বিএনপি আইন মানে না, কানন মানে না। তাদের নেতিবাচক রাজনীতির জন্য তাদের ধ্বংস ডেকে এনেছে। বৃহস্পতিবার(২৮ নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। র‌্যাব পুলিশ দিয়ে নির্যাতন-নিপিড়ন করে সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, র‌্যাব,পুলিশ দিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। আমাদের ক্ষমতার উৎস্য বাংলাদেশের জনগণ। রাজনীতিতে আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে এখন তারা চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে, সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, তারা দুদিন আগে আদালতের আঙ্গিনাকে কলুষিত করেছে, পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে, ভাংচুর করেছে। তারা খালেদা জিয়ার মামলাকে কেন্দ্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের কর্ম দিয়ে জনগণের আস্থাহীনতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নিজেরাই নিজেদের সংকুচিত করছে। এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের উদ্ধোধন করা হয়। কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে আয়োজিত জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আব্দুর রহমান, জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল এমপি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, সদস্য এস এম কামাল, কল্পনা জামান, শেখ সারজান নাসের তন্ময় এমপি। সার্বিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া-১-দৌলতপুর আসনের এমপি সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪-আসনের এমপি ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লালন সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুল অনুষ্ঠানের সুচনা ঘটে। সম্মেলন উপলক্ষ্যে সকাল থেকে দলে দলে বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও উপজেলা থেকে আওয়ামীলীগের খন্ড খন্ড মিছিল আসতে থাকে সমাবেশ স্থলে। নানা সাজে সেজেছিল কুষ্টিয়া। আলোচনা সভায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি হয়। এর পর দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে আগামী তিন বছরের জন্য আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের জন্য প্রধান অতিথিসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিদের্শ প্রদান করেন। ছবি আছে।