×

জাতীয়

আ. লীগের সহযোগী সংগঠন হচ্ছে মৎস্যজীবী লীগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৫ এএম

আ. লীগের সহযোগী সংগঠন হচ্ছে মৎস্যজীবী লীগ
আ. লীগের সহযোগী সংগঠন হচ্ছে মৎস্যজীবী লীগ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের স্বীকৃতি পাচ্ছে মৎস্যজীবী লীগ। এ জন্য আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র উপকমিটিতে সংশোধনী প্রস্তাবও আনা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনেই সহযোগী সংগঠনের স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়া হবে। শুক্রবার প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। জানা গেছে, ২০০৪ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এরপর বেশ কয়েকবার নেতৃত্বের পালাবদল হয়েছে। এই পালাবদল কেন্দ্র করে সংগঠনের নেতারা নানা গ্রুপে ভাগও হয়েছেন। এমনকি মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে, এটি নিয়েও তারা এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পরোক্ষ নির্দেশনায় সংগঠনের নেতারা ফের একটি প্লাটফর্মে আসেন। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেমে নেই। গত ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি। মৎস্যজীবী লীগে আওয়ামী লীগ সভাপতির সুনজর পড়ায় সংগঠনটির নেতারা এবার নড়েচড়ে বসেছেন। পদ পেতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে চলছে তাদের দৌড়ঝাঁপ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। জানা গেছে, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তিদের মৎস্যজীবী লীগের শীর্ষপদে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে ভাবছেন শেখ হাসিনা। সে ক্ষেত্রে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে সভাপতি হিসেবে এ সংঠনের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এটা প্রায়ই নিশ্চিত। কারণ প্রতিষ্ঠা থেকেই এ সংগঠনটি নিয়ে কাজ করে আসছেন তিনি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনারও সুনজর রয়েছে তার প্রতি। এ বিষয়ে মৎসজীবী লীগের আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ভোরের কাগজকে বলেন, মৎস্যজীবী লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন নয়। কিছু ত্যাগী নেতাকর্মীর প্রচেষ্টায় নানা সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে সংগঠনটি এ পর্যন্ত এসেছে। এবার জাতীয় সম্মেলনে এ সংগঠনটি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে মর্যাদা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এরই মধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই আমরা মৎসজীবী লীগকে পৌঁছাতে পেরেছি। আগামীতে তৃণমূলে সাংগঠনিকভাবে এ সংগঠনটিকে আমরা আরো মজবুত করে গড়ে তুলব। এ ছাড়া সভাপতি পদে আরো আলোচনায় আছেন, মৎস্যজীবী লীগের সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশার, সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট হারুন অর রশিদ, শেখ আজগর লস্কর (যদিও রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে)। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন সংগঠনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. রেদওয়ান খান বোরহান, বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল গফুর চোকদার, কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা মো. আলম, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আলীম, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহজাহান আলী গোলদার, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল হক হীরাসহ কয়েকজন। মৎস্যজীবীদের অধিকার আদায়ে ও মৎস্যসম্পদ বিকাশে অবদান রাখার জন্য সংগঠনটির সৃষ্টি। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কেবল দিবসভিত্তিক কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল সংগঠনটি। চাঁদপুর ছাড়া অন্য কোথাও মৎস্যজীবী ও মৎস্যসম্পদ সুরক্ষা নিয়ে কোনো সভা-সেমিনার বা সমাবেশ হয়নি। রেদওয়ান খান বোরহান জানান, ইলিশ সুরক্ষায় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নে মৎস্যজীবী লীগ বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করেছে। আমরা আনন্দিত, মৎসজীবী লীগকে প্রধানমন্ত্রী সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দিচ্ছেন। আমরা এই সংগঠনকে আরো বিস্তৃত করব সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App