×

অর্থনীতি

জনতা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করবে আরএকে ব্যাংক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:১৬ পিএম

জনতা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করবে আরএকে ব্যাংক

রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। রেমিট্যান্স হলো ড্রাইভিং ফোর্স। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরএকে ব্যাংক আমাদের দেশীয় কোনো ব্যাংকের সঙ্গে পার্টনারশিপে রেমিট্যান্স প্রেরণে সহায়তা করবে। এর মাধ্যমে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ অনেকগুন বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের প্রচুর রেমিট্যান্স প্রেরণকারী রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠান, যেটা তাদের জন্য এবং দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটাকে বৈধ পথে আনার জন্যই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের জনতা ব্যাংক সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তাদের শাখার মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের শাখা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। আরএকে ব্যাংকের প্রচুর শাখা রয়েছে। তারাও আমাদের দেশের একটি শক্তিশালী ব্যাংক খুজছে যাতে করে তারা তাদের সহায়তায় রেমিট্যান্স প্রেরণ করতে পারে। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে তারা এ কাজটি করতে পারবে। এর মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স প্রেরণ অনেক গুনে বেড়ে যাবে। জনতা ব্যাংকেরও ভালো হবে যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের শাখা রয়েছে।

চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স অব ইউএই এ্যাম্বাসি আব্দুল্লাহ আলি এর নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (২৭ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

এর আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এডিবি‘র কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ এবং ট্রেজারার ও মিশন লিডার পিয়েরে ভ্যান পিটহেমসহ প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবি আমাদের দেশে শিল্পায়নে বিকল্প উৎস হিসাবে অর্থায়ন করতে আগ্রহী। আমাদের বিভিন্ন খাতে তারা পূর্ব থেকেই কাজ করছে এবার এ খাতে তারা কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। এডিবির সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা কর্পোরেট হাউজের জন্য কর্পোরেট বন্ডের ব্যবস্থা করতে চায়। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চায় তাদেরকেও বন্ডের মাধ্যম অর্থায়ন করতে চায়।

এই বন্ডগুলো হবে টাকায় সুতরাং কোনভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারের এক্সচেঞ্জ রেটের কারনে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবেনা। তারা খুবই উপযুক্ত মূল্যে এই বন্ডটি পরিচালনা করবে। এছাড়া এডিবির এই অর্থায়নের মাধ্যম ব্যাংকিং খাতেরর উপরও যে চাপ রয়েছে সেটিও অনেকাংশে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। শর্ট টার্ম ডিপোজিট নিয়ে লংটার্ম লোন এর সংস্কৃতি হতেও দেশের আর্থিক খাত বের হয়ে আসতে পারবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App