গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হত্যার আড়াই মাস পর সেফটি ট্যাংকি থেকে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের স্বামী মুনসুর আলী, তার প্রথম স্ত্রী রেখা বেগম,ছেলে স্বপন মিয়া এবং বাগানবাড়ির মালিকের স্ত্রী খোদেজা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার চান্দরা খাজারড্যাগ এলাকার মৃত আতাব উদ্দিন দেওয়ানের বাগানবাড়ীর সেফটি ট্যাংকি থেকে ফরিদা বেগম নামে ওই গৃহবধুর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ফরিদা বেগম পাবনার আতাইকুলা থানার শ্রীপুর গ্রামের মুনসুর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী। মনসুর চান্দরা খাজারড্যাগ এলাকার মরহুম আতাবউদ্দিন দেওয়ানের বাগানবাড়ীর কেয়ারটেকার।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, আড়াই মাস আগে আতাব উদ্দিন দেওয়ানের বাড়ির কেয়ার টেকার মুনসুর তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেফটি ট্যাংকিতে লুকিয়ে রেখে তার স্ত্রী অন্যের সাথে চলে গেছে বলে অপপ্রচার চালায়। নিহত ফরিদার বোন গত ৪ নভেম্বর থানা একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুদিন পর মুনসুরের প্রথম স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।

গতরাতে আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া দীঘিরপাড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে মুনসুরকে গ্রেপ্তারের পর এ হত্যাকাণ্ডে সহযোগী সন্দেহে বাড়ির মালিক খোদেজা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মুনসুরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সকালে সেফটি ট্যাংকি থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।