×

খেলা

খুলে দেয়া হচ্ছে বাসাবো খেলার মাঠ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ১১:২২ এএম

খুলে দেয়া হচ্ছে বাসাবো খেলার মাঠ

আজ খুলে দেয়া হচ্ছে বাসাবো খেলার মাঠ। নানারূপে সজ্জিত মাঠটির নতুন নাম ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিন পার্ক’। মাঠটির চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এ মাঠের উদ্বোধন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। বিকেল ৩টায় এক সমাবেশের মাধ্যমে খুলে দেয়া হবে নয়নাভিরাম এই মাঠটি। সেইসঙ্গে উদ্বোধন করা হবে অত্যাধুনিকভাবে নির্মিত বাসাবো কমিউনিটি সেন্টারও। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে স্থানীয় তরুণ সংঘের ৬তলা বিশিষ্ট ভবনের।

জানা গেছে, ৪ দশমিক ৩৬ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলাউদ্দিন’ পার্কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর আধুনিকায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মাঠটিতে শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলাধুলা ও হাঁটার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। মাঠজুড়ে সবুজ ঘাস, চারদিকে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, অতিবৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা, বিশ্রামাগার, ফুটবল ও ক্রিকেট অনুশীলন ব্যবস্থা মাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। লাগানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা বারমুডা প্রজাতির ঘাস। রয়েছে প্রজাপতি আকৃষ্ট করে এমন ফুলের গাছও। নিজস্ব রিজার্ভার থেকে ৯টি ঝর্ণার মাধ্যমে মাঠের ঘাসে পানি ছিটানো, দর্শক গ্যালারি ও আধুনিক শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গত দুদিন কিছু সময়ের জন্য মাঠটি খুলে দেয়া হয়। তাতেই শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মাঠের পরিবেশ। স্থানীয়রা জানান, উদ্বোধনের পর মাঠটি এলাকাবাসীর জন্য বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। মাঠটি বাসাবো তরুণ সংঘকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হবে।

এরই মধ্যে মাঠটি উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শ্রমিকরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক আগ্রহ দেখা গেছে। মাঠটির তদারকির দায়িত্বে থাকা বাসাবো তরুণ সংঘের সভাপতি ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জলসবুজে ঢাকা প্রকল্পটির মাধ্যমে এই মাঠের উন্নয়ন করে। এখানে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। মানুষ সকাল-সন্ধ্যা দুই বেলা মাঠের চারদিকে হাঁটতে পারবে। দৃষ্টিনন্দন ঝর্ণার মাধ্যমে সবুজ ঘাসে পানি ছিটানো হবে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে ঘাসগুলো মরবে না। অতিবৃষ্টিতেও পানি জমবে না।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা ইসলাম বলেন, আমাদের বাচ্চাদের খেলার কোনো জায়গা নেই। তারা বাসার মধ্যেই বন্দি থাকে। মাঠটি খুলে দেয়া হলে সকাল বিকাল বাচ্চারা এখানে খেলতে পারবে। তাদের মেধার বিকাশ হবে। মাঠের পরিবেশ দেখতেও অনেক সুন্দর। মাঠকে ঘিরে আশপাশের পরিবেশটাও বদলে গেছে।

সোহেল রানা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এ এলাকায় উন্মুক্ত কোনো মাঠ নেই। সব সময় বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় বন্দি অবস্থায় থাকি। মাঠ খুলে দেয়া হয়েছে শুনে বেড়াতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। মাঠের এই পরিবেশ ধরে রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App