×

জাতীয়

সিইসির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে চার কমিশনার চিঠি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ১১:৪০ এএম

সিইসির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে চার কমিশনার চিঠি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত না করার অভিযোগ তুলেছেন চার কমিশনার। নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে চিঠি (ইউনোট-আন অফিসিয়াল নোট) দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর যৌথ স্বাক্ষর করা চিঠিতে সিইসির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি কমিশন সচিবালয়ে ৩৩৯ জন কর্মচারি নিয়োগ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সচিবালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন।

সিইসির কাছে রোববার (২৪ নভেম্বর) পাঠানো চিঠিতে কারণ উল্লেখ করে তারা বলেছেন, ইসির কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারেই তাদের জানানো হয় না। সিইসি আর সিনিয়র সচিব মিলেই সব কাজ করছেন। সম্প্রতি ইসিতে নিয়োগ নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সচিবালয় এককভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা সংবিধান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ- ১৯৭২, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন- ২০০৯ ও সংশ্লিষ্ট বিধির সুস্পষ্ট লংঘন।

এ চিঠির মধ্য দিয়ে সিইসির সঙ্গে বাকি চার কমিশনারের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লেও ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু হয়েছে। কর্মচারী নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। তিনি আরো বলেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হলে কমিশন তদন্ত করে দেখতে পারে। কমিটির সুপারিশ কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী আমি সিইসির কাছে উপস্থাপন করেছি।

ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ১২ থেকে ২০ তম গ্রেডের ৩৩৯ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই পদের বিপরীতে ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন আবেদন করেন। এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় ইসির ব্যয় হয় ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। জালিয়াতির দায়ে মৌখিক পরীক্ষায় ১৩৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়। যুগ্ম সচিব কামাল উদ্দিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইসির জনবল শাখা এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এসব নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চার কমিশনার।

ইউনোটে চার কমিশনার উল্লেখ করেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে গত ১৪ নভেম্বর সিইসির সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার এক পর্যায়ে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, নিয়োগের বিষয় ও এ সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারও সমর্থন দেন। ওই সভায় সচিব আরো বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়াদি কমিশনের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অন্যান্য বিষয়াদি সিইসির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App