×

জাতীয়

সৈকতের ‘কিটকট’ চেয়ার বিনামুল্যে ব্যবহারের সুপারিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:২৪ পিএম

সৈকতের ‘কিটকট’ চেয়ার বিনামুল্যে ব্যবহারের সুপারিশ

ফাইল ছবি

পৃথিবীর বৃহত্তর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পর্যটকদের বসার জন্য স্থাপিত কিটকট চেয়ারগুলো পর্টকদের জন্য বিনামুল্যে ব্যবহারের সুপারিশ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটি বলেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের জন্য নির্মিত চেয়ার ‘কিটকট’ গুলো ভাড়া দিয়ে এক শ্রেনীর গোষ্টি প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা আয় করছে। অথচ এসব কিটকটগুলো পর্যটকদের বিনামূল্যে বসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এখন থেকে এছাড়াও কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজগুলো কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (এসটিপি) আওতায় আনারও সুপারিশ করেছে কমিটি।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সপ্তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, জিল্লুল হাকিম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আনোয়ারুল আশরাফ খান এবং ফরিদা খানম অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কিটকট চেয়ারগুলোর অর্ধেক বিনামূল্যে ব্যবহার করতে দেয়ার জন্য ২০১৬ সালে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। বিনামূল্যের চেয়ার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনায় চলছিল। এক শ্রেণ্রীর গোষ্টি এগুলো ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার সম্প্রতি সমুদ্র সৈকত থেকে এসব চেয়ার কিছুটা উধাও হয়ে গেছে। এমনকি সাইনবোর্ডও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা সেখানে পর্টকদের বিনামুল্যে বসার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বৈঠকে চট্টগ্রামে ডিসি হিল পার্কের সংস্কারের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণে নেয়া প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App