×

সারাদেশ

সরকারি বিধি অমান্য করে একই কর্মস্থলে ১৯ বছর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১৭ পিএম

সরকারি বিধি অমান্য করে একই কর্মস্থলে ১৯ বছর
সরকারি বিধি অমান্য করে ১৯ বছর ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন জাতীয় মহিলা সংস্থার সিংগাইর উপজেলা সংগঠক পরিমল চন্দ্র অধিকারী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ। তারপরেও তিনি রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তার খুঁটির জোর কোথায় এ নিয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ২০০০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী পরিমল চন্দ্র অধিকারী অফিস সহকারি হিসেবে সিংগাইরে যোগদান করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা সিংগাইর উপজেলা সংগঠক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন ২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। এরপর থেকেই বেড়ে যায় তার অনিয়ম দূর্নীতির মাত্রা। অফিস সহকারি থাকাকালীন পরিমল বাবুসহ কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সংস্থার ঋন তহবিল থেকে বিতরনকৃত ঋনের প্রায় ১১ লাখ টাকা অনাদায়ী ও খেলাপি দেখিয়ে হস্তমজুদ করেন তারা। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে ঋন আদায় সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন ও ব্যাংক বিবরনী নিয়মিত জমা না দেয়ায় সদর দফতর থেকে চিঠি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে ঋন আদায় কার্যক্রম জোরদার ও আদায়কৃত অর্থ নিয়মিত ব্যাংক হিসেবে জমা করার বিষয়ে উপজেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লিখিত ভাবে জানান। তারপরেও এখনো পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথে চাকরি করছেন ওই সংগঠক। এতে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন পাড়ায়। এদিকে সরকারি চাকরির বিধি ও পরিপত্র অনুযায়ী একই কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশী সময় কর্মরত থাকার বিধান না থাকা সত্তে¡ও একই কর্মস্থলে তিনি পার করছেন ১৯ বছর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উর্ধ্বতন মহলের একাধিক কর্মকর্তার সাথে রয়েছে তার সু-সম্পর্ক । তিনি বদলি হওয়া তো দুরের কথা, একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি করেও তিনি পার পেয়ে যাচ্ছেন । অনিয়ম দুর্নীতি প্রসঙ্গে পরিমল চন্দ্র অধিকারী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্টে হস্ত মজুদের টাকা আত্মসাৎ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে গত জুন-জুলাই মাসের ৩০ জন সেলাই প্রশিক্ষনার্থীর লক্ষাধিক টাকা তার কাছে আছে বলে তিনি জানান। একই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে জাতীয় মহিলা সংস্থার মানিকগঞ্জ জেলা চেয়ারম্যান লক্ষী চ্যাটার্জী বলেন, একই কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় থাকা নিয়ে এলাকাবাসীর ভাবনাটা সঠিক। অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমান হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। প্রমান হওয়া দুর্নীতিগুলো আড়াল করার সুযোগ নেই। তারপরও হেড অফিস কি কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সেটা আমার বোধগম্য নয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App