×

সাহিত্য

পাঁচ গুণীকে সংবর্ধিত করলো ঋষিজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০২:২১ এএম

পাঁচ গুণীকে সংবর্ধিত করলো ঋষিজ
পাঁচ গুণীকে সংবর্ধিত করলো ঋষিজ

৪৩ বছরপূর্তিতে পাঁচ গুণীকে সংবর্ধিত করলো সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। সংবর্ধিতরা হলেন- কালের কণ্ঠ সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা, কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ। একইসঙ্গে আজীবন সম্মাননা জানানো হয় আবদুল গাফফার চৌধুরীকে।

শনিবার ( ২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি তথ্য সচিব আব্দুল মালেক এবং ঋষিজ সভাপতি ফকির আলমগীর গুণীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও উত্তরীয় তুলে দেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বিদেশ থাকায় তার পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো: আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, দীর্ঘ একটা সময় ধরে একই ধারাবাহিকতায় একটা সংগঠনকে টেনে নেয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি ঋষিজ করে আসছে। তাদের জন্য আমাদের সহযোগিতা আগেও ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।

অনুভূতি প্রকাশ করে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ফকির আলমগীর ৪৩ বছর ধরে নিজ প্রচেষ্টায় একটি সংগঠন পরিচালনা করছেন, সেটা চাট্টিখানি কথা নয়। গণসংগীততে ধারা সমৃদ্ধ করতে ঋষিজের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান আমাকে যে সম্মাননা জানালো, এতে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। গুণিজনদের সাথে আমাকেও সম্মানিত করায় আমি কৃতজ্ঞ। আমি সামান্য লেখালেখি করি, সেই পথকে আরো সুগম করবে এই সম্মান।

কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, আমাদের দেশে শিল্প-সংস্কৃতি আমাদের একটি প্রাত্যহিক প্রয়োজন। গত ৪৩ বছরে ঋষিজ অসংখ্য গুণিজনকে সম্মানিত করেছেন। ক্ষুদ্র হিসেবে আমাকে সম্মানিত করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।

মাহমুদ সাজ্জাদ বলেন, আমি নিজেকে কখনোই গুণিজন মনে করিনা। আমি মাত্র একজন সেবক। আমাকে দর্শক সম্মানিত করেছেন, ঋষিজ সম্মানিত করলো। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। স্কুল জীবন থেকেই আমি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি, তবে এই পুরস্কার আমাকে আকাশের সমান করেছে।

কোহিনূর আক্তার সুচন্দা বলেন, বাংলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিকজনদের চেতনা লালন করে পথ চলছে ঋষিজ। এই পথচলা আরো দৃঢ় ও সুগম হোক, এই প্রত্যাশা করি।

তথ্য সচিব আব্দুল মালেক বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মানে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন। দেশপ্রেম প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম এই সংস্কৃতি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এই মঞ্চে ঋষিজ যাদের সম্মান জানালো তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের সম্মান জানানোর মধ্যে দিয়ে ঋষিজ আজ নিজেও সম্মানিত হলো।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে ‘আমরা ঋষিজ করি’ দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সংগঠনের শিল্পীরা। এরপর শুরু হয় গুণীজন সংবর্ধনা। এবারের গোটা অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত সসংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মতিউল হক খান ও সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে।

আলোচনা ও সম্মাননা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, উদিচি, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী সহ বিভিন্ন জনেরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App