চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ বাবদ বার্ষিক ব্যয় হবে প্রায় ৪৫৬ কোটি ৩২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যদিও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ হতে ৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এসব এমপিওভ’ক্ত প্রতিষ্ঠানে ব্যয়ের পর আরো প্রায় ৪০৮ কোটি ৬৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে। এ অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে সংশোধিত নীতিমালার আলোকে যাচাই-বাছাই করে চলতি অর্থবছর আরো কিছু যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সপ্তম বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আবদুস সোবহান মিয়া এবং মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সংসদীয় কমিটিকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে বেশ কিছু টাকা বাড়তি থাকবে। তা দিয়ে চলতি বছরে আরো কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করা যেতে পারে। তবে সব টাই নির্ভর করছে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের আবেদন ও যাচাই বাছাইয়ের ওপর। তবে কোন সুপারিশ বা অনিয়মের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করা হবে না।

বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের সুপারিশও করেছে কমিটি।

বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন দফতরের প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।