কতটুকু লবণ খাবেন প্রতিদিন?
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫২ এএম
খাদ্যতালিকা থেকে লবণ কমানোর আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া জরুরি। অনেকেই রোগা হওয়ার জন্য ডায়েট করার সময়ে খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেন। লবণ শরীরে পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে অনেকেই মনে করেন, এই পানির কারণেই ওজন বেড়ে যাচ্ছে। পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায় চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, লবণ খেলে শরীরে পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ে ঠিকই। তার মানে এই নয় যে, সে কারণে ওজনও বেড়ে যাবে। এমনকি যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আছেন, তাদেরও প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে লবণ রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন এক চা চামচ পরিমাণ লবণ খাওয়া উচিত। পাঁচ-ছয় গ্রাম লবণ খাদ্যতালিকাতে রাখাই যায়। তবে কাঁচা লবণ না খেয়ে তরিতরকারি রান্নায় লবণ দিয়ে খাওয়াই উত্তম। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। বাজারে সি-সল্ট, পিঙ্ক-সল্ট, রক-সল্ট, টেবল-সল্ট ইত্যাদি অনেক ধরনের লবণ মেলে। এসব লবণে সোডিয়াম থাকে। অনেকেই মনে করেন, সি-সল্টে খনিজ বেশি থাকে, তাই টেবল-সল্টের চেয়ে তা বেশি ভালো। কিন্তু সুবর্ণা রায় চৌধুরী জানান, টেবল-সল্ট খাওয়া ভালো, কারণ তা পরিশোধিত। বিশেষত মেয়েদের জন্য আয়োডাইজড টেবল-সল্ট খাওয়া ভালো। লবণে শতকরা ৯৭-৯৯ ভাগই হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। ফলে লবণ খাওয়া বন্ধ করলে প্রথমেই শরীরে সোডিয়ামের অভাব হবে। নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। হুট করে প্রেসার কমে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। অন্যদিকে সাধারণ মাখন, পনির, পাউরুটি ইত্যাদি খাবারে কিছু পরিমাণে লবণ থাকে। তাই এই জাতীয় খাবার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাকলে অন্য খাবারে লবণের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যারা কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম করেন, তারা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো খাবারে লবণের পরিমাণ নির্ধারণ করে নেবেন। কারণ ঘামের মাধ্যমেও শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। বাজারে সুলভ প্যাকেটজাত খাবার, যেমন, চিপস, নাচো থেকে শুরু করে হ্যাম, সসেজ, সয়া সস, টমাটো সসেও লবণ থাকে। এসব খাবারের ক্ষেত্রেও সচেতন হতে হবে। মাছ, মাংস বা ডিম থেকেও সোডিয়াম পাওয়া যায়। তবে রোজকার চাহিদা সব সময় তাতে মেটে না। সামান্য লবণ সহজেই সেই ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।