×

খেলা

দিবারাত্রি টেস্টে ১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৩১ পিএম

দিবারাত্রি টেস্টে ১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ফ্লাডলাইটের কৃত্রিম আলো আর গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জে ভারতের মুখোমুখী হয়ে ১০৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে ওপেনার সাদমানের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ২৯ রান। ভারতের হয়ে ইশান্ত শর্মা ৫টি, উমেশ যাদব ৩টি ও মোহাম্মদ শামি ২টি করে উইকেট নেন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হয় গোলাপি বলের ঐতিহাসিক দিবারাত্রির টেস্ট। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলনেতা মুমিনুল হক।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে ইশান্ত শর্মার বলে এলবির ফাঁদে পড়েন ইমরুল। প্রথম বলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও তৃতীয় বলে রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারেননি। দলীয় ১৫ রানের মাথায় বিদায় নেন ইমরুল। তার আগে ১৫ বলে করেন মাত্র ৪ রান। ইন্দোর টেস্টে করেছিলেন ৬, ৬। তিন নম্বরে নামা মুমিনুল হককে বিদায় করেন উমেশ যাদব। দলীয় ১৭ রানের মাথায় স্লিপে দাঁড়ানো রোহিত শর্মা দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন। এক বল পরে মোহাম্মদ মিঠুনকে বোল্ড করেন উমেশ। দুই ব্যাটসম্যানের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

দলীয় ২৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। তিনি শূন্য করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন। কিছুটা দেখে খেলার চেষ্টা করছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। কিন্তু দলীয় ৩৮ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি। উমেশ যাদবের তৃতীয় শিকারে ফেরেন ৫২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ইনিংস সাজানো সাদমান। দলীয় ৬০ রানে ইশান্ত শর্মার বলে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ২১ বলে ৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ইনিংসের ২১তম ওভারে মোহাম্মদ শামির লাফিয়ে ওঠা বাউন্সার গিয়ে লাগে লিটনের হেলমেটে। ব্যাটে-বলে এক করা কঠিন ছিল। দ্রুতগতির বলে লিটন মাথাও সরাতে পারেননি।

আঘাতের পর বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক মাঠেই প্রাথমিক চিকিৎসা করছিলেন। ঐ ওভারের পরের বলেই শামিকে চার হাঁকান। পরের ওভারে ইশান্তকেও সীমানা ছাড়া করেন। কিন্তু মাথায় আঘাতের কারণে অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল লিটনের। ২২তম ওভারের চতুর্থ বল শেষে তাই আবারও শুশ্রূষার দরকার পড়ে। তখন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে লিটনকে মাঠ ছাড়তে হয়, আম্পায়াররা তখনই প্রথম সেশনের ইতি টেনে লাঞ্চের ঘোষণা দেন।

লাঞ্চের পর ব্যাট হাতে নামেন নাইম হাসান ও এবাদত হোসেন। কারণ লিটনকে তখন নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্ক্যান করাতে। শামির বাউন্সারে আঘাত পাওয়া লিটন পুরো ম্যাচেই আর ব্যাট করতে পারবেন না। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হলে মোহাম্মদ শামির বাউন্সার আঘাত হানে নাইমের হেলমেটেও। বাংলাদেশের চিকিৎসক ছিলেন লিটনের সাথে, তাই নাইমের শুশ্রূষায় ছুটে আসেন ভারতীয় দলের চিকিৎসক।

অবশ্য নিজেকে সামলে নাইম ফের ব্যাটিং শুরু করেন। তবে এবাদত ফিরেছেন সাজঘরে। পরবর্তী ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, যিনি লিটনের বদলি হিসেবে ম্যাচে খেলবেন। তবে মিরাজ এই ম্যাচে বল করতে পারবেন না, তার ভূমিকা থাকবে লিটনের মত শুধু ব্যাটসম্যানের।

কিন্তু ৮ রানের বেশি করতে পারেননি মিরাজ , ইশান্ত শর্মার চতুর্থ শিকার হন তিনি। এরপর ১৯ রান করা নাইম হাসানকে বোল্ড করে ইনিংসে নিজের ৫ উইকেটও পূর্ণ করে ফেলেন ভারতের দীর্ঘকায় এই পেসার। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন আবু জায়েদ রাহি। মোহাম্মদ শামির বলে ফেরার আগে কোনো রান পাননি তিনি।

খেলা শুরুর আগে ইডেনে ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এসময় তাদের পাশেই ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App