সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বিচারের নামে গিয়াস উদ্দিন (৩৫) নামের এক তরুণকে বেঁধে নির্যাতনকারী ইউপি সদস্য আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিলেটের সীমান্ত এলাকা কাড়াবাল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করে।

একই সঙ্গে যার বাড়িতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সেই এবাদ মেম্বার এবং যে ব্যক্তিরা তার পায়ে রশি বেঁধেছিল সেই আনোয়ার হোসেন ও মো. শাহজাহানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার মূলহোতা আবদুস সালাম জকিগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর কাজলসার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং চারিগ্রামের মৃত মহিবুর রহমান ঢালইর ছেলে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

নির্যাতিত তরুণ আটগ্রাম গুচ্ছগ্রামের গিয়াস উদ্দিন জানান, মাস চারেক আগে শাহজাহান তার কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলো। পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে শাহজাহানের একটি মোবাইলফোন নিয়ে নেন গিয়াস। এই ফোন নেয়াকে চুরি হিসেবে উল্লেখ করে শাহজাহান ও আনোয়ার গিয়াসকে ধরে এবাদ মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যান।

সেখানেই গিয়াসের পায়ে রশি বেঁধেছিল আনোয়ার হোসেন ও মো. শাহজাহান। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাকে নির্যাতন করা হয়। গিয়াসকে নির্যাতনের ঘটনা ভিডিওতে ধারন করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ২৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মেম্বার সালাম তরুণকে বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করছেন।

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ভিডিওটি দেখার পর তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা করার অনুরোধ করি। তার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ থানায় মামলা (নম্বর ২৪) দায়ের করা হয়। জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আবদুন নাসের জানান, সন্ধ্যা ৬টায় কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।