×

জাতীয়

স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাহাজ কাটা ঝুঁকিপূর্ণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:০৮ পিএম

স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ছাড়া জাহাজ কাটা ঝুঁকিপূর্ণ

বিশ্বে যে পরিমাণ জাহাজ কাটা হয়, তার ৫৫ শতাংশই কাটা হয় বাংলাদেশে। আর দেশে কেবল চট্টগ্রামেই জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে উঠেছে। দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে জাহাজ ভাঙা শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। তবে জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশ শীর্ষে থাকলেও বৈজ্ঞানিক ও নিরাপত্তামূলক পদ্ধতিতে জাহাজ কাটা হয় না। এই শিল্পে শ্রমিকরা অদক্ষ, শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। টেকসই জাহাজ ভাঙা শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে বুধবার ( ২০ নভেম্বর) এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, দেশে প্রচলিত বিদ্যমান বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা মেনে বর্জ্যমুক্ত জাহাজ আমদানি, জাহাজকে বিষাক্ত গ্যাস ও ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত করা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানা হয় না। এতে পরিবেশের জন্য নেতিবাচক ও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। জাহাজ ভাঙা শিল্পকে শোভন শিল্পে রূপান্তরিত করতে ধারাবাহিকভাবে পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। আর এটি শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়, এটি শিল্প সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দায়িত্ব।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এবং ডেনিস ট্রেড ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি- ডিটিডিএর উদ্যোগে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়। গোলটেবিল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিলস চেয়ারম্যান এ এম নাজিম উদ্দিন।

বক্তব্য রাখেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রামের সভাপতি তপন দত্ত, জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শফর আলী, মালিক পক্ষের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য মো. নাঈম শাহ ইমরান, মো. সেকান্দার হোসেন, কলকারখানা এবং প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শিপন চৌধুরী, ডা. বিশ্বজিৎ রায় এবং শুভঙ্কর দত্ত, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নূর হোসেন সজীব, বিলস কর্মকর্তা রিজওয়ানুর রহমান খান, ফজলুল কবির মিন্টু, জাহাজ ভাঙা শ্রমিক আব্দুর রহিম মাস্টার, নূরুল আবসার, মো. আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিলসের সিনিয়র কনসাল্ট্যান্ট আবু ইউসুফ মোল্লা। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহাজ ভাঙা শিল্পের শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও বর্তমান পরিস্থিতির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পাহাড়ি ভট্টাচার্য।

সভায় জাহাজ ভাঙা শিল্পের শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হ্রাস, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ না করানো, শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও প্রতিটি ইয়ার্ডে দক্ষ সেফটি অফিসার নিয়োগ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ব্যবহার নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App