×

সারাদেশ

রৌমারীতে আগাম সবজি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:২৬ পিএম

রৌমারীতে আগাম সবজি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা
রৌমারীতে আগাম সবজি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা
ভোরবেলার শিশির ভেজা ঘাস ও হালকা কুয়াশা প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। হেমন্তের শেষের দিকে শীতের বার্তা নিয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বাজারে মিলছে বাহারি শীতের সবজি। উপজেলায় প্রায় সব বাজারই শীতের শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। সরেজমিনে রৌমারী কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবজি বিক্রেতা ছোরহাব ও মুকুল ইসলাম মিতুল পাশাপাশি চালুনিতে বেগুন সাজিয়ে রেখেছেন। দেখতে প্রায় একই রকম হলেও দুই টুকরির বেগুনের দামের পার্থক্য বেশ বড়। একটি বল বেগুনের দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা। এটি ‘ দেশি’ বেগুন নামে পরিচিত। আর পাশের টুকরির বেগুন প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকা। স্বাদের ভিন্নতা ‘চালানি’ বেগুন ও ‘লোকাল’ বেগুনের দামেও বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। রৌমারী উপজেলার লোকাল সবজির জন্য বেশ জনপ্রিয় উপজেলার কাঁচা বাজার স্থায়ী সবজি বাজার। প্রতিদিন ভোরবেলা এখানে স্থানীয় বিক্রেতারা সুস্বাদু নানা জাতের সবজি নিয়ে আসেন। দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতাও প্রচুর। বৃহৎপতিবার ২১ নভেম্বর সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি শীতের সবজি। লাউ, মুলা, শসা, গাজর , বেগুন, কপি, লালশাক, লাউপাতাসহ নানা জাতের টাটকা শাক বাজারে উঠেছে। বাজারে ক্রেতার ভিড়ও উপচে পড়া। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রতিটি সবজির দামই বেশ চড়া। আকারভেদে প্রতিটি লাউ ২০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ২৫ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৫০, প্রতি ফুল কফি ৬০ কেজি, দেশি লেবু ৫ টাকা পিস, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা প্রদীপ সাহা বললেন, ‘লোকাল সবজির মজাই আলাদা। এর স্বাদ-গন্ধ অতুলনীয়। যদিও দামটা একটু বেশি।’ কেবল বেগুনই নয়, রৌমারীর বাজারে এখন শীতকালীন মুলা, লাউ, শিম, টমেটো, বরবটি, বাঁধাকপি, ফুলকপি সবই লোকাল এবং চালানি দুটোই আছে। তবে লোকাল সবজির দর ও কদর দুটোই বেশি। রৌমারী কাঁচা বাজার করতে আসা হাবিব নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এক দিন পরপরই এখানে এসে নানা জাতের টাটকা সবজি কিনি। দাম একটু বেশি হলেও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজিতে স্বাদ-গন্ধটা একটু টের পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সবজি খেতে মাত্রাতিরিক্ত সার, কীটনাশক ব্যবহার করায় এবং উচ্চফলনশীল জাতের বীজের কারণে সবজির সেই আদি স্বাদ যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। উপজেলার রৌমারী কাঁচা বাজার, দাঁতভাঙ্গা বাজার বড়াইকান্ডী বাজার, কর্তিমারী বাজার , সুইট মোড় , কাঠাল বাড়ি , এলাকার বিভিন্ন অস্থায়ী সবজি বাজারে এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজির বাজার জমজমাট। সবজি বিক্রেতারা জানান, স্থানীয় সবজির চাহিদা তৈরি হওয়ায় কুড়িগ্রাম ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে গত কয়েক বছরে সবজি উৎপাদনও কয়েক গুণ বেড়েছে। লাভজনক হওয়ায় অনেকেই সবজি চাষে মন দিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App