×

অর্থনীতি

বিশ্ব বাজারে রপ্তানি হচ্ছে আনোয়ারার বিষমুক্ত শুঁটকি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৪৮ পিএম

বিশ্ব বাজারে রপ্তানি হচ্ছে আনোয়ারার বিষমুক্ত শুঁটকি
বিশ্ব বাজারে রপ্তানি হচ্ছে আনোয়ারার বিষমুক্ত শুঁটকি
আনোয়ারা উপকূলের শীতের শুরুতে রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা চরে সারি সারি করে রোদে শুকানো হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাছ। সাগরতীর জুড়ে কয়েকটি এলাকায় চলছে শুঁটকি শুকানোর ধুম। এ বিষমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন শুঁটকি পল্লীকে ঘিরে গ্রামের দরিদ্র মহিলা, বৃদ্ধ ও শিশুরা কাজের সুযোগ পেয়েছেন। সংসারের কাজের পাশাপাশি বাড়তি টাকা আয় করছেন তারা। ইতোমধ্যে পুরোদমে শুরু হয়েছে শুঁটকি তৈরির কাজ। শুঁটকি তৈরিতে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি বিদেশেও এই শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উপকূলে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে শুঁটকি উৎপাদনের কাজ। সাগরে পাতানো ভাসান ও টং জালে আহরিত সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জেলেদের নৌকা থেকে উঠানো হচ্ছে। সেখানে জেলেদের কাছ থেকে পছন্দের মাছ গুলো কিনে মহালে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এসব মাছ প্রথমে মহালে সংরক্ষণ করা হয়। পরে পরিশুদ্ধ করার পর এসব কাঁচা মাছে আংশিক লবণ মেশানো হয়। তারপর গিট তৈরি করে এগুলো শুকানোর জন্য ওই মহালের একাধিক মাচায় টাঙানো হয়। চিংড়ি ও ফাইস্যা জাতীয় মাছ গুলো বিছানো পলিথিনে ছিটিয়ে শুকানো হয়। উৎপাদিত শুঁটকি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে লইট্যা, ছুরি, ফাইস্যা, চইক্যা, পোপা ও চিংড়িসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। গত কয়েক বছর ধরে শুঁটকি উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। সেই থেকে এই এলাকার উৎপাদিত শুঁটকি দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি পায়। শীত মৌসুম শুরু থেকেই এ পল্লীর মানুষেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শুঁটকি শুকানোর কাজে। গহিরা বেড়িবাঁধ সড়ক মেরামত, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হলে পরিবেশবান্ধব এ শুঁটকি পল্লী থেকে রপ্তানি আরও বাড়বে। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করেন স্থানীয়রা। চকরিয়া থেকে আসা মোহাম্মদ শহীদ তিনি নিজ অর্থ ও শেয়ারদারদের সাথে নিয়ে গহিরার চরে শুঁটকি উৎপাদনের জন্য একটি মহাল তৈরি করেছেন। প্রতিদিন শতশত কেজি সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি উৎপাদিত হচ্ছে এখানে। কোনো ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হচ্ছে এসব শুঁটকি। সমুদ্রের তীরবর্তী হওয়ায় এখানে রোদের প্রচণ্ড তাপ রয়েছে। এছাড়া বায়ু চলাচলেও নেই কোনো প্রতিবন্ধকতা। তাই রোদ ও বাতাসের সংমিশ্রণে দ্রুত কাঁচা মাছ শুঁটকি হিসেবে রূপান্তরিত হচ্ছে। আনোয়ারা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ূন মোরশেদ বলেন, আনোয়ারা উপকূলের বিভিন্ন স্থানে শুঁটকি উৎপাদন করছে জেলেরা। বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেলেদের সচেতনতা মূলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডিডিটি পাউডার বা কীটনাশক না মেশালে শুঁটকির প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App