বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১০ এএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক শেষে বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা। বৈঠকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় রাত পৌনে ১টার দিকে। বৈঠকে বাস-ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতাসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সেখানে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আমরা দীর্ঘ সময় বৈঠক করেছি। তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছি। এর মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য সাত মাস সময় দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, তারা যে আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সেটা বিবেচনার জন্য সুপারিশ আকারে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা সেগুলো বিবেচনা করে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।
পরে নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিতের দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান।
বৈঠকে রুস্তম আলী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মুগবুল আহমেদ, সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদারসহ ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের শ্রমিক-মালিক নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ট্রাক ও পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়ে দেশের বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন বন্ধ রাখেন। রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচলে বাধা দেয়া হয়। এ নিয়ে প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রমিক ও মালিকদের বৈঠক হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সে বৈঠক শেষ হয়েছিল।
