×

জাতীয়

সেই মাহিবুলের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন এমপি বকুল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩৬ পিএম

সেই মাহিবুলের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন এমপি বকুল

এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল - মাহিবুল

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী (পিইসি) পরীক্ষা দেয়ার আশা নিয়ে কেন্দ্রের গেট ধরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্রতিবন্ধী মাহিবুলের পড়ালেখার সার্বিক দায়িত্ব নিলেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। বুধবার সন্ধায় মাহিবুলের বাবার সাথে মুঠোফোনে কথা বলে তার পড়ালেখার সার্বিক দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান এমপি বকুল।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত খবর আমি দেখেছি। এরপর মাহিবুলের বাবার সাথে মুঠোফোনে কথাও বলেছি। একজন প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ালেখা করার প্রবল আগ্রহ দেখে আমি অত্যান্ত খুশি। মাহিবুলের বাবা মা তার শিশুকে বোঝা মনে না করে পড়ালেখায় উৎসাহিত করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এমপি বকুল। মাহিবুলের পাশে দাঁড়ানোয় এমপি বকুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে মাহিবুলের পরিবার।

গত রবিবার (১৭ নভেম্বর) প্রথম দিনে পরীক্ষা দেয়ার আশায় পুরো আড়াই ঘন্টা পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল মাহিবুল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি নজরে এলে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে আবারও মাহিবুলকে গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পেড়াবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সমাজসেবা অফিসার রেজাউল করিম। তিনি বিষয়টি নিয়ে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পালের সাথে আলোচনা করেন।

পরে মাহিবুলকে ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে পরীক্ষার আদলে এক ছায়া পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেই পরীক্ষা গ্রহন করা হবে শুধুই শিশু মনের মাহিবুলকে সান্তনা দেওয়ার জন্য। এমন সিদ্ধান্তের পর কোন নিয়মিত পরীক্ষার কেন্দ্রে নয়, পার্শ্ববর্তী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন স্মৃতি বাক, শ্রবণ ও অটিস্টিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছে মাহিবুল।

মাহিবুলের বাবা কামরুল আহসান খান জানান, পরিক্ষার শুরুর দিন থেকেই পরীক্ষা দেওয়ার জিদ ধরেছিল মাহিবুল। তাই উপায় না দেখে তাকে নিয়ে এসেছিলাম পিইসি পরীক্ষার কেন্দ্রে। স্কুল ড্রেস পরে পেড়াবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের গেটে পুরো পরিক্ষার আড়াই ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিল মাহিবুল। এটা দেখে ইউএনও তাকে পরিক্ষা দেয়ার সুযোগ দিয়ায় মাহিবুল খুব খুশি।

উল্লেখ্য, উপজেলার নওশেরা মহল্লার শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মাহিবুল ড: এমদাদ খান ও ছেতেরা খান অর্কা কৃষি ও কারিগরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। পরীক্ষা দেওয়ার শারিরীক ও মানসিক সক্ষমতা নেই ভেবে বাবা-মা এ বছর পরীক্ষার জন্য ডিআর ভুক্ত না করায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেনা সে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App