রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কম্বোডিয়ার সহযোগিতা চাইলেন স্পিকার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:১৪ পিএম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেনের সহযোগিতা চাইলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বুধবার (২০ নভেম্বর) এশিয়া প্যাসিফিক সামিট-২০১৯ এ যোগ দিতে কম্বোডিয়া সফররত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশটির প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেনের সঙ্গে তার বাসভবন পিস প্যালেস সাক্ষাৎকালে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চান।
এর আগে বুধবার সম্মেলনে অংশ নেয়া একাধিক রাষ্ট্রদূতের কাছে সহযোগিতার অনুরোধ করেন তিনি। এর আগে স্পিকার পিস প্যালেস পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী হুন সেন উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তিনি এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামে অংশগ্রহণ করায় ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাতকালে তারা সংসদীয় চর্চা, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি ও উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কম্বোডিয়ার প্রয়াত ফাদার কিং নরোদম সিহানুকের সাক্ষাতের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সূচনা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বড় বোনের মতো উল্লেখ করে হুন সেন ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফর ও ২০১৪ সালে তার ঢাকা সফরের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, এ সফরে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়।
স্পিকার মিয়ানমার কর্তৃক জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ান পর্যায়ে চাপ অব্যাহত রাখার জন্য হুন সেনকে অনুরোধ জানান।
পরে স্পিকার দেশটির রাজধানী নমপেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রস্তাবিত সড়কটি পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর সংসদ ভবনে ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ট্রন ভ্যান খোয়া সাক্ষাতে এলে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আশিয়ানে ভূমিকা রাখতে সেদেশের সহযোগিতা চেয়েছিলেন।