×

জাতীয়

পোশাক শ্রমিকদের গাড়ি ভাঙচুর ও চাঁদা দাবিতে ৩ মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:২২ পিএম

পোশাক শ্রমিকদের গাড়ি ভাঙচুর ও চাঁদা দাবিতে ৩ মামলা

প্রতীকী ছবি।

গাজীপুরে শ্রীপুরে বিদেশি মালিকানাধীন একটি রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও তাদের বহনকারী গাড়ি যাতায়াতে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে শ্রীপুর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আলাদা তিনটি মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের পটকা এলাকার প্রোস্টার এ্যাপারেলস লিমিটেডে (চায়না) এসব ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শ্রমিক নিয়ে ফেরার পথে পিটিয়ে আহত করা গাড়ি চালক রাসেলের স্ত্রী সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে একটি মামলাটি করেন। পরে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে কারখানার পক্ষ থেকে প্রশাসিনক কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ একটি ও শ্রমিকদের বহনকারী গাড়ির ঠিকাদারের পক্ষে মো. ইউসুফ প্রধান একটি মামলা করেন।

এসব মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও আবুল কাশেমের ছেলে হাবিবুর রহমান জুয়েল, পৌর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ও নাজিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওয়াসিম, তাদের সহযোগী মামুন, সেলিম মুন্সী, শাকিল, খলিল, রিফাত, শাকিল-২, সুজন, সৌরভ, ওরভ, সোহেল, জসীম, ফাহাদ, শিশির দে, আল আমীন, দেলোয়ার, খোরশেদ আলম, ইমরান, শাকিব, জাকির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা কমপক্ষে ৬০জন। তাদের মধ্যে হাবিবুর রহমান জুয়েল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং আশরাফুল ইসলাম ওয়াসিম শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী।

অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় বেলায়েত এন্টারপ্রাইজকে কারখানায় শ্রমিক বহনকারী ১৪টি বাস সরবরাহের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়। সে অনুযায়ী নিয়মিত শ্রমিক যাতায়াত ও কারখানার উৎপাদন চলে আসছিল। এরই মধ্যে গত বেশ কিছুদিন যাবত অভিযুক্তরা জোর করে ওয়ার্ক অর্ডার নেয়া ও কারখানার সকল প্রকার কাজ তাদের আয়ত্বে নেয়ার জন্য শ্রমিক বহনকারী গাড়ির চালক ও শ্রমিকদের কারখানায় যাতায়াতে বিভিন্ন স্থানে বাধা ও হুমকি দিয়ে আসছে। এর আগে একটি গাড়ির চালক রাসেলকে মারধোর করায় তার স্ত্রী ১৮ নভেম্বর শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তাছাড়া মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় শ্রীপুর কাপাসিয়া সড়কে শ্রমিক বহনকারী চালক আলম, ভাংনাহাটী এলাকায় চালক স্বপন, সাতখামাইর এলাকায় চালক শামসুল, আল অমীনকে মারধর ও তাদের গাড়ি ভাংচুর করে। কারখানার শ্রমিকদের কারখানায় গেলে খুন-জখমের হুমকিও দেয়।

গাড়ির ঠিকাদারদের পক্ষে মো. ইউসুফ প্রধান বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিক বহন করে নিয়ে আসা তাদের ৫টি গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও তার কাছে অভিযুক্তরা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তা না দেয়ায় জোর করে তাদের ঠিকাদারী নিয়ে যাওয়া ও কারখানায় ব্যবসা করতে না দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।

এ ব্যাপারে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ বলেন, কারখানায় এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক রয়েছে। অভিযুক্তদের কর্মকান্ডে গত দু’দিন যাবত কারখানায় শ্রমিকের উপস্থিতি ও উৎপাদন প্রায় নেই বললেই চলে। আমরা সরকারের বিধি বিধান মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। অভিযুক্তদের আধিপত্যের প্রভাবের কারখানা অনেকটা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

একই বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য অভিযুক্তদের মোবইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, কারখানার এসব ঘটনায় পৃথকভাবে মোট তিনটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য শ্রীপুর থানা, জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App