নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা মোহা সিএনজি পাম্পেন সামনে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে দশ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ময়মনসিংহের ত্রিশাল কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ-ইউনিটের ভর্তী পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরে। শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা তাকওয়া পরিবহনের চালক আব্দুর রহিম জানান, সরকার আমদেরকে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েছে। এখন বলছে ভারি ড্রাইভিং লাইসেন্স করে মহাসড়কের গাড়ি চালাতে হবে। না হলে আমাদেরকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারণ করা হবে। সরকার যদি আমাদেরকে আগে এ কথা বলতো আমরা প্রথমেই ভাড়ি ড্রাইভিং লাইসেন্স করে সড়কে গাড়ি চালাতাম। চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের সহকারী (হেলপার) সুজন মিয়া বলেন, সরকার যে আইন করেছে তার বাতিল করতে হবে। এ সড়ক আইন আমরা মানি না। নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিল না করলে আমাদের আন্দোলন চলবে। টঙ্গী থেকে আসা কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী আল-আমীন জানান, পরিবহন শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ করার কারণে আমরা পরীক্ষার্থীরা পড়েছি বিপাকে। তারা আমাদেও কথা শুনছেই না। আমরা সময়মতো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারব কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার অপর পরীক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার বলেন, সকাল সাড়ে ৭ টায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। মাওনা চৌরাস্তা এস দেখি পরিবহন শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পুলিশের সহযোগীতায় শ্রমিকদেরকে ছাত্রদের যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া অনুরোধ করলে তারা রাজি হলেও সাথে থাকা অভিবাবকদেরকে তারা যেতে দিচ্ছে না। এতে করে পরীক্ষার্থীরা কিছুটা ভয় পাচ্ছে। কোন কোন পরীক্ষার্থী অভিভাবক ছাড়া যেতে চাচ্ছে না। মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এম এ হাশেম জানান, সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলেও তাদেরকে বুঝিয়ে সোয়া দুই ঘন্টা পর সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। কিছু পরীক্ষার্থীকে এক সাথে করে তাদেরকে বাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।