লবণ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বিভিন্ন জেলায় দোকানে দোকানে ক্রেতারা ভিড় করেছেন। এমন মুহূর্তে তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রেসনোটে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) তথ্য অধিদপ্তর থেকে এ প্রেস নোট জারি করে বলা হয়, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে গুজব ছড়ানোতে লিপ্ত রয়েছে। দেশে লবণের প্রাপ্যতা নিয়েও গুজব ছড়ানোর একটি অপচেষ্টা চলছে।

ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন লবণ উৎপাদিত হয়ে বাজারে আসবে। বর্তমান মজুতের সঙ্গে যোগ হবে নতুন উৎপাদিত লবণ। ফলে দেশে লবণের কোনও সংকট নেই এবং এমন কোনো সম্ভাবনাও নেই।

এদিকে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাহিদার তুলনায় লবণ বেশি থাকার পরও একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লবণের ঘাটতি সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়াচ্ছে। দেশে লবণের সংকট নেই এবং সংকট হওয়ার আশঙ্কাও নেই। লবণ চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সরকারের সার্বিক সহায়তায় লবণ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

২০১৮-২০১৯ অর্থ-বছরে লবণ মৌসুমে (নভেম্বর-মার্চ) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬.৫৭ লাখ মে. টন। কিন্তু বাস্তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি, অর্থাৎ ১৮. ২৪ মে. টন উৎপাদিত হয়েছে। এ বছরের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে লবণের মজুতের পরিমাণ ৬.৫০ লাখ মে. টন, যা প্রায় ৫-৬ মাসের চাহিদার সমপরিমাণ। বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসায়ী, বিজনেস চেম্বার মিডিয়া ও অন্যান্য ফোরামকে লবণ নিয়ে সৃষ্ট গুজব রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

/এসএইচ