অবশেষে শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার
nakib
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৪৪ পিএম
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পরিচালিত গণহত্যার অভিযোগে দেশটির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে। আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার দায়ের করা এ মামলার শুনানি আগামি ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর শুরু হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজি)।
আফ্রিকান দেশটি ৪৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও রাখাইন রাজ্যে মুসলিমদের উচ্ছেদের অভিযোগ আনে। জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করে মায়ানমার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রাখাইনে নির্মম উচ্ছেদ ও গণহত্যা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়।
৯৫% মুসলমান জনগোষ্ঠির দেশ গাম্বিয়া জানায় ৫৭টি মুসলিম দেশের পক্ষ থেকে তারা এ মামলা দায়ের করেছে এবং তাদের এ ভূমিকার প্রশংসা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। দেশটির আইনজীবী জানান, তারা আদালতকে রোহিঙ্গাদের আর যেন কোনো ক্ষতি না করা হয় সে জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানাবে।
এর আগে জাতিসংঘ তাদের তদন্তে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় বলে জানায়।
তবে এ মামলার শুনানির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কোনো আদালতে বিচারকার্য শুরু হতে যাচ্ছে এবং তৃতীয় কোনো পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের নজির স্থাপন করতে যাচ্ছে গাম্বিয়া ।
২০০২ সাল যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য হেগে আলাদাভাবে এ আদালত স্থাপন করা হয় । রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত এ অপরাধ তদন্তের জন্য আদালত প্রথমবারের মতো নিজস্ব একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে। আগে এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য তারা বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা নিতো।
আর্জেন্টিনার মানবাধিকার সংস্থাও একই অভিযোগে মিয়ানমারের সাবেক গণতন্ত্রের প্রতীক অং সান সুচির নামে মামলা দায়ের করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেয়। মামলা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও আইসিসির তদন্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ করে।
মিয়ানমার আইসিসির অন্তর্ভূক্ত দেশ না হলেও আইসিসি বলছে তাদের অপরাধ প্রতিবেশী দেশ বাংলদেশকে প্রভাবিত করছে।
নকি/