×

জাতীয়

সরকার জনগণের ঘাড়ে বসে আছে: বাম গণতান্ত্রিক জোট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:০৬ পিএম

সরকার জনগণের ঘাড়ে বসে আছে: বাম গণতান্ত্রিক জোট

বর্তমান সরকার জনগণের ঘাড়ের উপর চেপে বসে আছে বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জণগনের ভোটাধীকার হরণ করে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি, নৈশকালীন নির্বাচনে ভোট লুট করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ‘কালো দিবস’ পালন করবে দলটি।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর পুরাণ পল্টন মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ মন্তব্য করেন।

তারা মনে করেন, জনগণ নির্বাচনী বিমুখ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনটি (২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর) একটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ১১ বছরের শাসনামলে প্রশাসন, শিক্ষা খাতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে, যা আজ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ-এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ইউসিএলবির সম্পাদকম-লীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকম-লীর সদস্য মনিরউদ্দিন পাপ্পু।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মিডিয়ায় সকল বিষয়কে ছাপিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল ভোটের আগের রাতে ভোট বাক্স ভরে রাখার নৈশকালীন নির্বাচনের নতুন কীর্তি। সংবাদ সম্মেলনে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদও জানান হয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে জানান হয়, ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে, উপজেলা পর্যায়ে জোটের শরিক দলগুলোর কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা মিছিল হবে। সেদিন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় সমাবেশ।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, এটি যে জালিয়াতিপূর্ণ ভোট ডাকাতির নির্বাচন ছিল, সে বিষয়ে আর কোনো বিতর্ক নেই। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের সংগঠন, কায়েমি স্বার্থবাদী সকল চক্র, দলীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মিলে ভোটাধিকার হরণের মতো একটি গর্হিত কাজে একযোগে লিপ্ত হয়েছিল।

তিনি বলেন, প্রশাসন ব্যবস্থাকে চরমভাবে বিকৃত ও কালিমালিপ্ত করে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির দানবীয় চেহারা প্রদর্শণ করেছে। রাজনীতির অঙ্গনে নীতিনিষ্ঠ মানুষদেরকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে।

/এসএইচ

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App